কদমতলী মৌজার বেদখল 'শ্যামপুর খাল' ও সংলগ্ন খাস জমি উদ্ধার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
রাজধানীর মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের আওতাধীন কদমতলী মৌজার শ্যামপুর রোডের 'শ্যামপুর খাল' ও সংলগ্ন প্রায় ৬৭ শতাংশ খাস জমি চিহ্নিত ও উদ্ধার করা হয়েছে। কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ চৌরাস্তা হয়ে শ্যামপুর রোডের পাশ দিয়ে এই খাল বহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালের এক মাথা বুড়িগঙ্গা হয়ে অন্য মাথা শীতলক্ষ্যায় গিয়ে মিশেছে। স্থানীয় ভূমি দস্যু ও দখলদারের আগ্রাসনে ধীরে ধীরে খালটি বিলুপ্তির দিকে এগুচ্ছে। উক্ত খালের সংলগ্ন প্রায় ২০ শতাংশ খাস জমিও অবৈধ দখলে রয়েছে। তার মধ্যে ০.০৭১৪ একর ভূমিতে সেমিপাকা কাঠের আসবাব তৈরির কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ০.০৭২৩ একর ভূমি পতিত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া প্রায়. ০৩৬৭ একর জমিতে দুটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে স্থানীয় বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করা হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের নির্দেশনা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শিবলী সাদিক এর তত্ত্বাবধানে মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান বুধবার অভিযান চালিয়ে কদমতলী মৌজার আর এস ও মহানগর জরিপের ১নং খতিয়ানে আর এস ৩২৮৩ ও সিটি ২৩০১ নং দাগের ০.০৬৭২ একর খাস জমি উদ্ধার করেন।
একইসঙ্গে খাস জমির সীমানা চিহ্নিত করে লাল নিশান ও মালিকানা সাইনবোর্ড টানিয়ে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসন, ঢাকার দখল ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এই অভিযান পরিচালনার সময় মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সার্ভেয়ার ও সংশ্লিষ্ট ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, কদমতলী থানার কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানান, ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে মূল্যবান অনেক খাস জমি ভূমি দস্যু ও দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে আসছে। যেগুলো উদ্ধার ও সংরক্ষণে জেলা প্রশাসন, ঢাকা সর্বদা তৎপর। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।