ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় সংশোধন চান ব্যবসায়ীরা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:০০ পিএম
আলোচনা না করে ইমারত নির্মাণ বিধিমালার খসড়া তৈরি করায় ক্ষুব্ধ ঢাকা ডেভেলপারস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট গ্রুপ (ডি.ডি-রেগ)।
নতুন এ আইনের সংশোধন না হলে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ডি.ডি-রেগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়।
ঢাকা বিভাগের আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি দাবি করে, একতরফাভাবে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে; কিন্তু আবাসন শিল্পের কোনো স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া হয়নি তাতে। নতুন এই আইন বাস্তবায়িত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আবাসন শিল্প। নতুন বিধিমালা অনুয়ায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে- একইসঙ্গে ফ্ল্যাটের সংখ্যা হ্রাস পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়- দেশে জমির সংকট আগামীতে আরও মারাত্মক হবে। এতে কৃষিজমির ওপর চাপ বাড়বে। অসংখ্য নাগরিকের নিশ্চিত আবাসন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। তাছাড়া ফ্ল্যাটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাসা ভাড়াও বেড়ে যাবে। বাসা ভাড়ার চাপ সামাল দিতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন এক সময়। একই সঙ্গে সাবলেটের সংখ্যাও বাড়বে। আবাসন খাত সংকটে পড়লে সামগ্রিক অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, নতুন বিধিমালায় ফার-এ (ফ্লোর এরিয়া রেশিও) সবকিছু নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোন জমিতে কতগুলো ইউনিট কিংবা ফ্ল্যাট হবে- সেটা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ফলে ৫ কাঠার মধ্যে ছোট ছোট ইউনিট করার সুযোগ থাকবে না বলে জানান তিনি।
এছাড়া ডি.ডি-রেগ সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ হেলাল বলেন, আবাসন ব্যবসায়ীরা ড্যাপ কিংবা ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিরুদ্ধে নন। তবে সাংঘর্ষিক ইস্যুগুলো সংশোধনের মাধ্যমে আবাসন খাতবান্ধব বিধিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এ জন্য রাজউক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি।
আবাসন ব্যবসায়ী হাইকান্স প্রোপার্টিজের চেয়ারম্যান এলাহী শিমুল বলেন, যতদিন যাচ্ছে আবাসন খাতের চাহিদা ততই বাড়ছে। এ খসড়া বাস্তবায়ন হলে জমি ও ফ্ল্যাটের দাম বহুগুণে বেড়ে যাবে।