Logo
Logo
×

রাজধানী

মতিঝিলে নিখোঁজ নয়নের মৃত্যু অজ্ঞান পার্টির চেতনানাশক খেয়ে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:৪৩ এএম

মতিঝিলে নিখোঁজ নয়নের মৃত্যু অজ্ঞান পার্টির চেতনানাশক খেয়ে

রাজধানীর মতিঝিল থেকে নিখোঁজ নয়ন বিশ্বাসের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অজ্ঞান পার্টি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ। তার নাম বিশ্বজিত কর্মকার ওরেফে নূর মোহাম্মদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিলিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

ডিসি হায়াত বলেন, যশোর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে করে গত ১১ মে ভোরে ঢাকার কমলাপুরে আসেন শ্যারন বিশ্বাস ও তার বাবা নয়ন বিশ্বাস। সেন্ট জোসেফ স্কুলের শিক্ষার্থী শ্যারন বিশ্বাস বাবাকে কমলাপুরে বিদায় দিয়ে মোহাম্মদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। অপর দিকে তার বাবা নয়ন বিশ্বাস পায়ে হেঁটে টিটিপাড়া এলাকা যান গাজীপুরেগামী বাসে ওঠার জন্য।

এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন নয়ন বিশ্বাস। বাবাকে না পেয়ে শাহজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শ্যারন বিশ্বাস। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নয়ন বিশ্বাস কমলাপুরে থেকে পায়ে হেঁটে টিটিপাড়ার বাস কাউন্টারের সামনে যান। সেখানে এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা বলে। ওই ব্যক্তির দেওয়া পানি খান। এরপর রাইদা পরিবহনের বাসে ওঠেন। ১১ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাতিরঝিল থানার রামপুরা টিভি গেট এলাকায় নামিয়ে দেয় বাসের হেলপার। খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ মে মৃত্যুর পর তার মরদেহ অজ্ঞাত হিসেবে মর্গে রাখা হয়। পরে মর্গে গিয়ে তার ছেলে মরদেহ শনাক্ত করেন।

ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, পরবর্তীতে এই ঘটনায় জড়িত অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্য বিশ্বজিত কর্মকার ওরেফে নূর মোহাম্মদকে সাভারে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে নিহতের দুটি মোবাইল ও হাতিয়ে নেওয়া কাপড় এবং বিপুল পরিমাণ ঘুমের ঔষধ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন ভোরে টিটিপাড়া এলাকায় নয়ন বিশ্বাসকে হেঁটে আসতে দেখে তাকে টার্গেট করে। এরপর তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে পানি খেতে দেন বিশ্বজিত। পরে তার সঙ্গে বাসে উঠে পড়েন। বাসটি মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গেলে নয়ন বিশ্বাসের দুটি মোবাইল ও কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে নেমে যান বিশ্বজিত। আর অসুস্থ অবস্থায় নয়ন বিশ্বাসকে রামপুরা নামিয়ে নে বাসের হেলপার।

গ্রেপ্তার বিশ্বজিতের বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের ডিসি বলেন, বিশ্বজিত কর্মকার ২০ বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসিলম হয়ে নুর মোহাম্মদ নাম ধারণ করে। মাদকাসক্ত বিশ্বজিত মতিঝিলের মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে ক্লিনার হিসেবে কাজ করত। সে ১৪ বছর ধরে মতিঝিল, সায়েদা বাদ ও পল্টন এলাকায় অজ্ঞান করে সব কিছু হাতিয়ে নিতো। বিশ্বজিত সপ্তাহে অন্তত দুটি অজ্ঞান করার কাজ করতেন। তবে তার হিসাব সঠিক না কারণ গত ১১ তারিখ তিনি আরও একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে রাজধানীর মুগা, সবুজবাগসহ বিভিন্ন থানায় মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সে শতশত ঘটনা ঘটিয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম