Logo
Logo
×

রাজধানী

নারী শ্রমিক ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গার্মেন্টস বন্ধ

Icon

যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম

নারী শ্রমিক ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গার্মেন্টস বন্ধ

কদমতলীতে পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে মঙ্গলবার সকালে শ্যামপুর সিভিক অ্যাপারেলস লিমিটেডের মূল ফটকে নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৫ মে) সিভিক অ্যাপারেলস লিমিটেডের ভেতরে রাত ৩টার সময় ফ্লোর ইনচার্জ ইয়াকুবের নেতৃত্বে কোয়ালিটি ইনচার্জ ইমরান ও মিজু আহমেদ এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করে। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানায় কাজ না করে ১১, ১২ ও ১৩ মে বিক্ষোভ করেন।

কারখানার পরিচালক স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়- ৫ মে প্রতিষ্ঠানের ফিনিশিং সেকশনের মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ মে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রম আইন মোতাবেক অভিযুক্তদের সাত দিনের জন্য বরখাস্ত করেন। পরবর্তীতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক কারখানার ভিতরে উস্কানিমূলক মন্তব্য প্রচার করেন। 

এরপর থেকে বিচার মানে না বলে কাজ বন্ধ করে কারখানার সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। তারা একের পর এক দাবি তুলে কারখানা ভাঙচুর ও ম্যানেজারকে মারধর এবং মালিকদের আটকে রেখে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা লিখিতভাবে আদায় করেন। শ্রমিকদের এ বেআইনি আন্দোলন অব্যাহত রাখার কারণে দেশে ও বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং তিন দিন কারখানার সমস্ত কাজ ও শিফটমেন্ট বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮ লাখ ডলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১৩ এর (১) অনুযায়ী ১৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কারখানা (সিভিক অ্যাপারেলস লিমিটেড) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

ভুক্তভোগী শ্রমিকদের অভিযোগ, ৫ মে রোববার সিভিক অ্যাপারেলস লিমিটেডের ভিতরে রাত ৩টার সময় ফ্লোর ইনচার্জ ইয়াকুবের নেতৃত্বে কোয়ালিটি ইনচার্জ ইমরান ও মিজু আহমেদ ওই নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। 

ঘটনার ৬ দিন পর ১১ মে শনিবার বিষয়টি কারখানার অন্য নারী শ্রমিকদের এবং মালিকপক্ষকে লিখিতভাবে জানান ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক ও তার স্বামী।

মালিকপক্ষ ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাদের কারখানা থেকে বের হয়ে যেতে সহযোগিতা করে।

এ ঘটনায় শ্রমিকরা ধর্ষণকারী ও তাদের সহযোগিতাকারীদের শাস্তির দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন।

শ্রমিকরা বলেন, এ কারখানায় আমরা ২ হাজার ৫শ জন শ্রমিক কাজ করতাম। এপ্রিল মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তাছাড়া গত ৪ মাসের ওভারটাইমের টাকা ও ৩ বছরের ছুটির টাকা বকেয়া রয়েছে।

আমাদের সহকর্মীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছি। সেই কারণে কারখানা বন্ধ করে আমাদের বেকার করে দিয়েছে। শ্রমিকরা পুনরায় কাজে ফিরতে কারখানা খুলে দেওয়া এবং বকেয়া বেতন ও অন্যান্য বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম