খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে: মেয়র আতিক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খালগুলো দখলমুক্ত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলবে। সোমবার রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের প্রধান কার্যালয়ে মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসির অগ্রগতির সার্বিক চিত্র এবং আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, আগামী এক বছর ডিএনসিসিতে নতুনভাবে যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সারা বছরই কাজ করছি। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। এবার আমরা নিজেরাই সরাসরি বিটিআই আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। দ্রুতই বিটিআই আনতে পারব।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সেবার পরিসর বৃদ্ধি করেছি। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনলাইনে হচ্ছে। গুলশান-১ ও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট পার্কিং চালু করেছি। গুলশান-২ এ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ভিত্তিক ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর মাধ্যমে প্রমাণ করেছি ডিএনসিসি ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বাস্তবায়নে সক্ষম। আরও ৬টি স্থানে এআই-ভিত্তিক ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।
মেয়র বলেন, একটি স্মার্ট জবাইখানা করার ইচ্ছা আছে। আমি দ্রুতই এটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও গাবতলিতে বৃক্ষ ও প্রাণী হাসপাতাল নির্মাণ করার ইচ্ছা রয়েছে।
তিনি বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় দুই বছরে দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। গত বছর ৯০ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই বছর আরও দেড় লাখ গাছ রোপণ করা হবে।
২০২০ সালের ১ ফেব্র“য়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মো. আতিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়ে মেয়র হন। পরে ২৭ ফেব্র“য়ারি মেয়র হিসাবে তিনি শপথ গ্রহণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, ডিএনসিসির সব বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।