Logo
Logo
×

রাজধানী

সাফল্য ধরে রেখেছে ঢাকার সেরা স্কুল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০১:২৯ এএম

সাফল্য ধরে রেখেছে ঢাকার সেরা স্কুল

রাজধানী ঢাকার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে বরাবরের মতো এ বছরও সাফল্য ধরে রেখেছে। পাশের হার এবং জিপিএ-৫ অর্জনেও তারা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে। এর নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ত্রিমুখী প্রচেষ্টা। তবে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার ফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এদিকে ফলাফল প্রকাশের পর স্কুলে স্কুলে আনন্দে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। খুশিতে সহপাঠীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করেছে, আনন্দের মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে তুলছে ছবি-সেলফি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এ উল্লাসে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরাও। সন্তানদের ফলাফলে আনন্দে আপ্লুত অভিভাবকরাও। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। 

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ : মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে এ বছর ২ হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ১৫ জন ছাড়া সবাই পাশ করেছে। এক্ষেত্রে পাশের হার ৯৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৫৬ জন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এমাম হোসাইন বলেন, পরীক্ষার ফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক এগিয়ে আছে। ছেলেদের পিছিয়ে থাকার কারণ হিসাবে তিনি জানান, মেয়েরা লেখাপড়ার বিষয়ে বেশি সিরিয়াস। তারা বাইরে মনোযোগ কম দিয়ে থাকে।
 
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ : ভিকারুননিসা নূন স্কুলে এ বছর তিনটি বিভাগ থেকে ২ হাজার ১৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পাশ করেছে ২ হাজার ১৬১ জন। এখানে পাশের হার ৯৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫২৮ জন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ভালো ফলাফলে আমরা গর্বিত। কারণ ভালো ফলাফলে আমরা সব সময় এগিয়ে থাকি। 

রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ : রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৭৮০ শিক্ষার্থীর মধ্যে এ বছরও পাশের হার শতভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫৮ জন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম বাহাউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে। 

এছাড়া সফলতা ধরে রেখেছে উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও। এখান থেকে এ বছর ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পাশের হার ৯৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ : মাইলস্টোন স্কুল থেকে এ বছর বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ১ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পাশের হার শতভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২৯৮ জন। কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, ক্যালেন্ডারভিত্তিক নিয়মিত একাডেমিক পাঠদান, বিশেষ একাডেমিক কার্যক্রম এবং সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আশানুরূপ ফল অর্জনে সহায়তা করে। 

মনিপুর স্কুল : মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বছর ৩ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫৮৭ জন পাশ করেছে। আর ১৭০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এক্ষেত্রে পাশের হার ৯৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৭ জন। 

সামসুল হক খাঁন স্কুল অ্যান্ড কলেজ : ডেমরায় ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠ থেকে ১ হাজার ২৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশের হার ৯৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৮৩৬ জন এ প্লাস পেয়েছে। অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, আমাদের ক্রমাগত সাফল্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ : ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর ৫৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের পাশের হার শতভাগ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৫ জন। 

হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয় : হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এবার ২৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছাড়া সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৫ জন। সিনিয়র শিক্ষক রোজলিন সারা বলেন, ‘আমরা গতানুগতিক শুধু সিলেবাসকেন্দ্রিক পড়ালেখা করাই না। তবে পাঠ্যবইকে পরিপূর্ণ অনুসরণ করি। আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ত্রিমুখী প্রচেষ্টায় সার্বিক সফলতা এসেছে।’

উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় : উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় কমেছে। বিদ্যালয়টিতে গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮৫ জন এবার এ সংখ্যা ১৬২। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ২৭৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবাই পাশ করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬২ জন। অধ্যক্ষ জহুরা বেগম যুগান্তরকে বলেন, করোনার পর এবারই পুরো সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে তার প্রভাব কিছুটা পড়েছে। 
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় : রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে। এ বিদ্যালয় থেকে গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০৩ জন, এবার এ সংখ্যা ২১৭। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩৮৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : এ বছর প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় কমেছে। বিদ্যালয়টিতে গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০৪ জন। এবার তা কমে ১৬৮ জনে নেমেছে। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৮৬ জন। পাশের হার ৯৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ : শতভাগ পাশের হার নিয়ে ফলাফলে এবার ঢাকা বোর্ডে অষ্টম স্থানে সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এসএসসিতে ১৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. লিও জে. পেরেরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমাদের স্কুলের এসএসসির রেজাল্ট অনেকটা ভালো হয়েছে। আশা করছি সামনে আরও ভালো রেজাল্ট হবে।

সেন্ট গ্রেগরি : সেন্ট গ্রেগরির ২৫১ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৯ জন। যা শিক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। 

সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল : পুরান লক্ষ্মীবাজারের এই স্কুলের ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন ছাড়া সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২১ জন। 
ঢাকা গভ. মুসলিম হাই স্কুল : ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানে ১৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন ছাড়া সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ জন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম