ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে পালালেন প্রথম স্ত্রী
ডেমরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
রাজধানীর ডেমরায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় মো. তৌফিকুর রহমান (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বিশেষ অঙ্গ কেটে পালিয়েছেন তার প্রথম স্ত্রী।
এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্ত্রী ও বড় বোনের মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ২৬ এপ্রিল সকালে ডেমরার বাদশা মিয়া রোডের আলতাফ সাহেবের আয়েশা স্বপ্ন বিলাস ভবনে ভুক্তভোগীর ফ্ল্যাটে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- তৌফিকুর রহমানের স্ত্রী ও কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার চিথলিয়া গ্রামের মৃত খন্দকার সারোয়ার হোসেনের মেয়ে মোছা. রেহানা খাতুন (৪০) ও তার বোনের মেয়ে কুষ্টিয়ার সদর থানার মিলপাড়া গ্রামের আমি তো আব্দুল বারেকের মেয়ে মোছা. বেবি (৩৭)। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ভুক্তভোগীর বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার পরিদর্শক অপারেশন সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, ২০ বছর পূর্বে রেহানার সঙ্গে বিয়ে হয় তৌফিকুর রহমানের। ওই সংসারে বর্তমানে তিন সন্তান রয়েছে। গত পাঁচ বছর যাবত তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে। এসব কারণে রেহানা তার স্বামীকে অধিকার বঞ্চিত করে বারবার তৌফিকুরকে বারবার দ্বিতীয় বিয়ে করতে বলে। একপর্যায়ে তৌফিকুর গত ছয় মাস পূর্বে জনৈকা মোছা. হাজেরা খাতুন (২৪) নামে এক নারীকে বিয়ে করেন।
সুব্রত কুমার আরও বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে রেহানা তার স্বামীর ওপর আরও ক্ষিপ্ত হন। এ ঘটনায় তার বোনের মেয়ে বেবির সঙ্গে পরামর্শ করে রেহানা তার স্বামীকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। গত ২৬ এপ্রিল ফজর নামাজের পরে রেহানা কৌশলে তার স্বামীকে বেলের শরবতের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় রেহানা তার স্বামী তৌফিকুরের বিশেষ অঙ্গ কেটে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের ১৩ বছরের মেয়ে তাকিয়া রহমান ও ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান সাঈদ ভুক্তভোগীকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ভুক্তভোগী তৌফিকুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।