Logo
Logo
×

রাজধানী

অ্যাসবেস্টসের আমদানি ব্যবহার বিপণন নিষিদ্ধ করার দাবি 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ পিএম

অ্যাসবেস্টসের আমদানি ব্যবহার বিপণন নিষিদ্ধ করার দাবি 

মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের আমদানি, ব্যবহার ও বিপণন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলফ ও এনভায়রমেন্ট ফাউন্ডেশন-ওশি ফাউন্ডেশন।
 
সোমবার ওশি ফাউন্ডেশন ও দক্ষিণ কোরিয়ার এশিয়া সিটিজেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলফে (ইকো হেলফ) যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে, ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশীদ চোধুরী রিপন এ দাবি করেন। 

তিনি জানান, গবেষণায় বাংলাদেশে তৈরি সিমেন্ট শিট, একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বেবি টেলকম পাউডার, গাড়ির ব্রেক শু ও সীতাকুন্ডে জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকা থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষেণ করে সিমেন্ট শিটে ৫০ ভাগ ও ব্রেক শু’তে ১৫ ভাগ ক্রিসোটাইল অ্যাসবেসটসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বেবি টেলকম পাউডার ও সীতাকুন্ড এলাকার মাটির যে নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল তাতে অ্যাসবেসটস পাওয়া যায়নি। তবে আরও নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে জানান আমিনুর রশীদ চৌধুরী রিপন।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যাসবেসটস একটি ধূসর রঙের খনিজ যা সহজেই দীর্ঘ নমনীয় ফাইবারে বিভক্ত হয়ে যায়। এটি অগ্নিরোধী, বিদ্যুৎ অপরিবাহী এবং রাসায়নিকভাবে প্রতিরোধী। ধূলিকণা হিসাবে শ্বাস নেওয়া হলে এটি গুরুতর ফুসফুসের রোগের কারণ হতে পারে। অ্যাজবেস্টস একটি নীরব মরণ ঘাতক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্যানুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ লাখ শ্রমিক অ্যাজবেস্টস সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে।  বিশ্বের ৬২টি দেশে অ্যাসবেস্টসের ক্ষতিকারক দিক বিবেচনায় এর উৎপাদন, আমদানি ও বিপনন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী অ্যাসবেস্টস সংক্রমণজনিত রোগ এবং ক্ষতিপূরণযোগ্য পেশাগত ব্যাধি।
 
সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর হুমকি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে অ্যাসবেসটসের আমদানি, ব্যবহার ও বিপপন নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। এছাড়াও ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর, পরিবেশ, বন ‍ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত  বাংলাদেশে সকল প্রকার অ্যাসবেসটস এর ব্যবহার বন্ধকরণ বিষয়ক সভায় ক্রিসোটাইল অ্যাসবেসটস এর ক্ষতিকারক প্রভাব বিষয়ে গবেষণাসহ অন্যান্য যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেন বক্তরা।
 
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশীদ চোধুরী রিপন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি হেলথ সায়েন্স এর ডিপার্টমেন্ট অব অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এর অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন ফারুকী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম