রোজার শুরু থেকেই ক্রেতার ভিড় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে। শেষ সময়ে ভিড় আরও বাড়ায় সরগরম বেচাকেনা। এতে খুশি বিক্রেতারা। এক ছাদের নিচে সব ব্র্যান্ড ও উন্নত মানের পণ্যমেলায় খুশি ক্রেতাও। এছাড়া শপিংমলে ঈদ কেনাকাটায় আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপ। যে কোনো শোরুম থেকে ন্যূনতম ৫০০ টাকার পণ্য কিনলেই পুরস্কার জেতার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতা। 

সোমবার এই আয়োজনে এক ভরি স্বর্ণ জিতে নিয়েছেন নর্দা এলাকার আবু ইউসুফ। এছাড়া লটারিতে মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্যসহ নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এতে ঈদ আনন্দে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। এদিন শপিংমল ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

এদিকে ক্রেতারা যাতে সহজে উপহার পেতে পারেন সেজন্য শপিংমলের সেন্টার কোর্টে গিফটের পৃথক বুথ করা হয়েছে। পণ্য ক্রয়ের রসিদ নিয়ে সেখানে থাকা কিউআর কোড অথবা gift.jamuna.info এ তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা উপহার জিতলে বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন। সোমবারও এই আয়োজনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মাঝে উপহারসামগ্রী তুলে দিয়েছেন যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ। আর এই ক্যাম্পেইন চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। 

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল এই শপিংমলে ভিড় থাকলেও ঈদ কেনাকাটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা। ভোগান্তি ছাড়াই কিনছেন পছন্দসই পণ্য। এদিন সকাল থেকেই শপিংমলে আসতে থাকে ক্রেতা। বিকাল নাগাদ লোকে লোকারণ্য হয় চারপাশ। সন্ধ্যায় অনেকে শপিংমলের ফুডকোর্টে ইফতার সেরে আবার কেনাকাটায় মেতে ওঠেন। এছাড়া ইফতার শেষে ফের ঢল নামে আস্থার শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। এ সময় যমুনা ফিউচার পার্কের মেট্রো ফ্যাশন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড হুর, ইনফিনিটি, কে ক্রাফট, অঞ্জনস, আড়ং, জিন্স অ্যান্ড কোম্পানি, টুয়েলভ, রেড, জেন্টল পার্ক, টিন’স ক্লাব, প্লাস পয়েন্ট, কান্ট্রি বয়, রেঞ্জ, সিক্স লাইফ স্টাইল, লা রিভ, আর্টিসান, টপ টেন মার্ট পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোতে প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা যায়।

লারিভ শোরুমে কথা হয় জিহাদের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের একেকটি শোরুমে একেক ধরনের পছন্দসই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এখানে সব দেশি বিদেশি ব্র্যান্ডের শোরুম থাকায় কোনো চিন্তা নেই। মন মতো কেনাকাটা করতে পারছি। এছাড়া ইতোমধ্যে শপিংমলের ঈদ আয়োজনে মুভি টিকিট পেয়েছি। যা ঈদ আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া তিন দিন আগে একটি রাইস কুকার পেয়েছি। এজন্য শপিংমল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। 

টপটেন শোরুমে কথা হয় নাঈমের সঙ্গে। তিনি জানান, এই শপিং মল মানুষের আস্থার জায়গা। কারণ এখানে সব কিছু সহজেই পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালে। এক শপিংমল থেকে সব কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরা যায়। এছাড়া যমুনা ফিউচার পার্কের প্রতিটি ব্র্যান্ডের শোরুম অনেক বড়। কেনাকাটা করতেও ভোগান্তি নেই। স্বস্তিতে কেনাকাটা করা যায়।

আড়ং শোরুমে কথা হয় ন্যান্সির সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড় কেনা শেষ। এছাড়া গতকাল জুতা কিনেছি। এবার কিছু কসমেটিক্স কেনার পালা। এই শোরুম থেকে বের হয়ে জুয়েলারির দোকানে যাব।

যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলম বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কে ক্রেতারা দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ড একই ছাতার নিচে পাচ্ছেন। প্রথম থেকেই এখানে যারা ব্যবসা করছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করছেন। সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। ক্রেতারাও ভালোমানের পণ্য পাচ্ছেন। এজন্য সবার পছন্দের শীর্ষে যমুনা ফিউচার পার্ক। তাই সবাইকে দক্ষিণ এশিয়ার এই সর্ববৃহৎ শপিংমলে এসে ঈদ কেনাকাটা করতে স্বাগত জানাচ্ছি।

কোটি টাকার ঈদ উপহার : সোমবার যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা করে সিগনেচার ক্যাম্পেইন কোটি টাকার ঈদ উপহারের মধ্যে ডায়ামন্ড রিং পেয়েছেন যুবায়ের সিকদার। গোল্ড রিং পেয়েছেন ইমন হোসেন অনিক। ফ্রিজ পেয়েছেন মো. সাগর। রাইস কুকার পেয়ছেন তানিয়া আক্তার, মো. সারওয়ার, মাহি, ইউসুফ, কাওসার, আসাদ ও মো. হিরা। ব্লেন্ডার অ্যান্ড জুসার পেয়েছেন তাজমিম, রেষা, মো. জাকির, নুরুন নাহার, তঞ্জিনা আক্তার, মো. মোস্তাফা কামাল। ইলেকট্রিক কেটলি পেয়েছেন মো. মেহেদি, মো. নুসরাত, ফারজানা আক্তার, রাসেল, মাহমুদুল দুর্জয়, ইমন, রিজভি, মো. আলভি, মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. হৃদয়। ড্রাই আয়রন পেয়েছেন নুরুন নাহার, মো. নয়ন ও রাফি প্রমুখ।