ধানমন্ডিতে ভবনের ছাদে দুটি রেস্টুরেন্ট ভেঙে দিল রাজউক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
বাণিজ্যিক ক্যাটাগরি এফ-২ অনুমোদন না থাকায় রাজধানীতে একটি ভবনের রুফটপের দুটি রেস্তোরাঁর স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ ছাড়া নকশা অনুযায়ী ছাদের অংশে কোনো স্থাপনা থাকার কথা ছিল না। সেটিও মানা হয়নি।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার অভিযান চালিয়ে স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ছাদে দুটি স্থাপনার মধ্যে একটি ছিল রেট্রো লাইভ কিচেন এবং আরেকটি নির্মাণাধীন।
রাজউক কর্মকর্তারা জানান, ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের বাণিজ্যিক ভবন এফ-১ হিসেবে অনুমোদন ছিল। তবে রেস্তোরাঁ করতে হলে বাণিজ্যিক ক্যাটাগরি এফ-২ অনুমোদন থাকতে হবে। সেটি এই বিল্ডিংয়ের নেই। তা ছাড়া নকশা অনুযায়ী ছাদের অংশে কোনো স্থাপনা থাকার কথা ছিল না। সেটিও মানা হয়নি।
গাউসিয়া টুইন পিক বিল্ডিংয়ের সার্ভিস ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, রাজউকের কর্মকর্তারা গতকাল এসে পুরো বিল্ডিং ঘুরে দেখেছেন। এর পর সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছেন। থানার পক্ষ থেকে আজ চিঠি দেওয়া হয়েছে, সব রেস্তোরাঁকে লাইসেন্স নিয়ে তিন দিনের মধ্যে থানায় যেতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে রাজউক টিম নিয়ে এসে ভাঙা শুরু করেছে। কোনো মালামাল সরানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। কোনো স্টাফ নেই এখানে, সবাইকে গতকাল ছুটি দেওয়া হয়েছে।’
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের আগুনে নারী-শিশুসহ ৪৬ জন মারা যান। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। দুজনের মধ্যে একজন অজ্ঞাত হিসেবে রয়েছেন। অজ্ঞাত লাশ এবং অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের শরীর থেকেও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর পর রোববার (৩ মার্চ) রাতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ।