Logo
Logo
×

রাজধানী

বেইলি রোডের আগুনে আ.লীগ নেতার মৃত্যু

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম

বেইলি রোডের আগুনে আ.লীগ নেতার মৃত্যু

অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম মারা গেছেন। 

তিনি কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের ভাগ্নে তারেক হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারেক হাসান জানান, আতাউর রহমান রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ভবনটিতে কফি খেতে গিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসরোধ হয়ে ওনার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: স্বামীকে ফোন করে শেষ কী কথা বলেছিলেন স্ত্রী নাজিয়া

অ্যাডভোকেট শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে তারা দুজন একসঙ্গে করে হোটেল ক্যাপিটাল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান। সেখানে যাওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান। পরে তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে সিঁড়ি বেয়ে তারা ওপরে উঠতে থাকেন।

নূরল আলম আরও জানান, এ সময় ভিড়ে শামীমকে হারিয়ে ফেলি। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও শামীম মারা যান।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। 

তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।

জানা গেছে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি ও পিৎজা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়েন। এ অবস্থায় ভবনের তিনতলা এবং সাততলায় আটকেপড়া ব্যক্তিরা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম