Logo
Logo
×

রাজধানী

তিশার মায়ের আর্তনাদ, মুখোশ খুলে দিলেন মুশতাকের 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২ এএম

তিশার মায়ের আর্তনাদ, মুখোশ খুলে দিলেন মুশতাকের 

ছবি: সংগৃহীত

সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সের বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে।  

এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখনো বিষয়টি বিচারাধীন। 

কিছুদিন থেকেই বয়সে বড় জামাইয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আসছিলেন বাবা সাইফুল ইসলাম। এবার তিশার মা মুখ খুলেছেন। 

আরও পড়ুন: মুশতাক গলাবাজি আর চাপাবাজি দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে: তিশার বাবা

তিশার মা অভিযোগ করে বলেন, তিশাকে ব্লাকমেইল করেছেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ। তাকে জিম্মি করে কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়েছেন তিনি। তাকে যে বিয়ে করেছে এর স্বাক্ষী কাজী ছাড়া আর কেউ নেই। 

মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন তিশার মা।  

তিশার মা বলেন, তিশা এখন যা বলছে সব শেখানো কথা। এখন মুশতাক নিজে বাঁচতে তিশাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মুশতাক ভালো করেই জানে যে, তিশা একবার মুখ খুললে তার (মুশতাক) খবর আছে। তিশা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে কিন্তু তাকে (তিশা) মুশতাক কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না।  তিশা অনেক ভীতু মেয়ে এবং সহজ সরল। তাকে যেভাবে পরিচালনা করছে সেভাবে সে পরিচালিত হচ্ছে।  

তিশার মা বলেন, তিশাকে জোর করে কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়েছে। খন্দকার মুশতাকের বিচার ও শাস্তি চাই। আমার মেয়েকে জিম্মি করে কাবিননামায় সই দিতে বলে মুশতাক। কিন্তু আমার মেয়ে সই দিবে না, তখন বলে যে তোমার ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিব। আমি গভর্নিং বডির সদস্য; প্রিন্সিপাল আমার ক্লোজ, এটা তো জানোই। বাধ্য হয়ে তিশা সই করে। এটাকে আমি বিয়ে বলব না। 

এর আগে একই দাবি করেছিলেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, আমার মেয়েকে জিম্মি করে কাবিননামায় সই দিতে বলে মুশতাক। কিন্তু আমার মেয়ে সই দিবে না, তখন বলে যে তোমার ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। 

মাত্র দশম শ্রেণিতে পড়াকালীনই তিশাকে কার্যত টার্গেট করেন খন্দকার মুশতাক। এরপর নিজের মেয়ের মাধ্যমে তিশাকে কবজায় আনার প্রস্তুতি নেন। সেই অনুযায়ী একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। এমনই ভাষ্য তিশার বাবা সাইফুল ইসলামের। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম