ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধি হবে অযৌক্তিক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
বারবার ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধি করে ‘অবাঞ্ছিত প্রকল্প খরচ’ জনগণের পকেট কেটে নেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসা লাভজনক সংস্থা হওয়ার পরও আবারও অযৌক্তিকভাবে পানির মূল্য বৃদ্ধির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এতে শহরের ৮০ শতাংশ মানুষের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘শ্রেণিভিত্তিক পানির মূল্য ও সুপেয় পানির অঙ্গীকারের বাস্তবতা-আমাদের মতামত’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সিনিয়র সচিব (অব.) মো. মফিজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বাণিজ্য) উত্তম কুমার রায়, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহা. ইফতেখার, ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন।
এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন, বাপার জয়েন্ট সেক্রেটারি আমিনুল রসুল, ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিবেদক অমিতোষ পাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, দেশের সবচাইতে বেশি পানিবাহিত রোগে ভুগছে দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কারণ তারা চাইলেও বোতলজাত পানি কিনে খেতে পারে না। অন্যদিকে জ্বালানি এলপিজির উচ্চমূল্যের কারণে পানি ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করেও খেতে পারছে না। তাদের একমাত্র ভরসা বিশেষ করে ঢাকা অঞ্চলের বাসিন্দাদের ওয়াসার পানি।
দ্রব্যমূল্যের যখন ঊর্ধ্বগতি, সেই সঙ্গে বাড়ছে জ্বালানির দাম, ঔষধসহ জীবন-জীবিকার সব পণ্যের দাম। সে সময় আমরা লক্ষ্য করলাম ঢাকা ওয়াসা শ্রেণিভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমাদের প্রস্তাব হলো নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য পানির মূল্য বর্তমানের চাইতে আরও কমিয়ে আনতে হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যবহারকারী এবং উচ্চবিত্তদের জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের মূল্য যে প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ ব্যবহারের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে মূল্য নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই জনগণের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়।