রাজধানীতে সাততলা থেকে শাড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৯ পিএম

রাজধানীর কলাবাগান থানার গ্রিনরোড এলাকার একটি ভবনের সাততলা থেকে শাড়ি বেয়ে নিচে নামতে গিয়ে পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হামিদা রহমান (৬৭)। তার ছেলে মশিউর রহমান দাবি করেছেন, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তার লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোছা. নার্গিস আক্তার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত হামিদার ছেলের বরাত দিয়ে এসআই নার্গিস বলেন, দুই বছর আগে তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন। শুক্রবার রাতে নিজের রুমের গ্রিলের সঙ্গে শাড়ি বেঁধে নামতে গিয়ে নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের ছেলে মশিউর রহমান বলেন, আমার বাবা মজিবুর রহমান দুই বছর আগে মারা যান। এরপর থেকে মা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার সময় সবাই খাবার খেয়ে যার যার রুমে চলে যাই। পরে সিকিউরিটি গার্ড এসে খবর দেন ওপর থেকে কে যেন পড়ে গিয়েছে। সন্দেহ হলে আমরা সবাই মায়ের রুমে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি মা রুমে নেই, গ্রিলের সঙ্গে শাড়ি বাঁধা। এরপর নিচে গিয়ে দেখি মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কলাবাগান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।