রাজধানীতে আলাদা স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে তিনজনের মৃত্যু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম
রাজধানীর পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- তেজগাঁওয়ে জোবায়ের আহামেদ সজল, উত্তরায় সজিব ও টঙ্গীতে অজ্ঞাত এক নারী। সোমবার বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, উত্তরা মধ্য আজমপুর এলাকায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হওয়ার সময় কমলাপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সজিব (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
সত্যতা নিশ্চিত করে বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শ্রী সুনীল চন্দ্র সুত্রধর বলেন, দক্ষিণ খানের চালাবন এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সজিব। তার স্বজনদের সংবাদ দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
সোমবার দুপুরে টঙ্গী রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় এক নারী গুরুতর আহত হন। তৎক্ষণিক তার পরিচয় পাওয়া যায়নি, তার বয়স আনুমানিক (৫৫) বছর। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, এ ঘটনা ঢাকা রেলওয়ে থানাকে অবগত করা হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় জোবায়ের আহামেদ সজল নামে এক মুদি দোকান ব্যাবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে উদ্ধারকারী পথচারী আব্দুল মান্নান যুগান্তরকে জানান, তেজগাঁও রেলগেট কাঁচা বাজারের সামনে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন সজল। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহত সজলের চাচাতো ভাই খালিদসহ স্বজনরা। তারা জানিয়েছেন, সজল কোনো কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সাভার বলিয়াপুর চাকুলিয়া গ্রামের মৃত সামাদ মোল্লার ছেলে সজল। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। সাভারে তার মুদি দোকান রয়েছে। লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।