ভাড়াটিয়াকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম, বাড়িওয়ালা কারাগারে
ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর ডেমরায় মো. রাসেল মিয়া ওরফে সাগর (২৫) নামে এক ভাড়াটিয়াকে বেঁধে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার নাম জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জাহাঙ্গীর আলম ডেমরার মাতুয়াইল মোঘলনগর এলাকার মৃত বোরহান উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ডেমরা থানায় অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা মো. জাহাঙ্গীর আলম (৬০), তার স্ত্রী বিউটি (৫৫) ও অন্য ভাড়াটিয়া মো. শাকিলসহ (২৫) অজ্ঞাত একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম (৪৬)।
১ মাসের বকেয়া ভাড়া ৩৩০০ টাকা পরিশোধ না করে অন্যত্র ঘর ভাড়া নেওয়ায় গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে মাতুয়াইল মোঘলনগরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রাসেলের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ৯৯৯-এ ফোন করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাড়িওয়ালাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন সাগর আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে আমার ছেলে ও তার স্ত্রী ৩৩০০ টাকা মাসিক হিসেবে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়ায় সাগর নভেম্বর মাসের বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে পারেনি। ওই ভাড়া দ্রুত পরিশোধ করতে জাহাঙ্গীর অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে চাপ দেন সাগরকে। পরে সাগর অন্যত্র বাড়ি ভাড়া ঠিক করে। গত সোমবার ঘরের মালামালসহ খাট খুলতে গেলে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীসহ আরও ২ জন লোহার পাইপ দিয়ে সাগরকে পিটিয়ে মাথাসহ সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করেন। এ সময় তাকে রঁশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত কুমার পোদ্দার।