সাম্প্রদায়িকতার অচলায়তন ভেঙে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রীতি বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
বুধবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং সঙ্গীতনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
সংগঠনটির আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিতি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভ‚ইয়া, ঢাবির সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ড. জামাল উদ্দীন চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ঢাবির জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ মিহির লাল সাহা প্রমুখ।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নির্বাচন আসলেই একটা পক্ষ দেশের সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে। তারা চায় যাতে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। তবে সরকার চাইলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবনমন রোধ করতে পারে। ঠিক তেমনি তারা চাইলে বিনষ্টও করতে পারে। আমার প্রত্যাশ বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িকতার বিস্তার রোধ করবে।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, বর্তমানে একটা পক্ষ অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। আর এই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপির তারেক জিয়া। তারা বিভিন্ন সমেয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে। তাই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তাদের আবারও অবশ্যই পরাজিত হতে হবে। আর সেটি হবে আগামী নির্বাচনে তাদের পরাজয়ের মাধ্যমে।
সভাপতি ড. জামাল উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আজকে সম্প্রীতি বাংলাদেশ সে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছে আমরা স্বেচ্ছায় তাতে সাড়া দিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকব।
শ্যামল দত্ত বলেন, যে সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম লেখা। যেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। সেই সংবিধান দিয়ে কীভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা যাবে। আমাদের দেশে যদি সত্যিই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকত তাহলে আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হতো না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার না থাকলেই মনে হয় ভালো হতো। একদল ভোট দিলে মারে অন্যদল ভোট না দিলে মারে। বর্তমান সরকাররের অন্তত ২০জন এমপিকে চিনি যারা সংখ্যালঘুদের জমি দখল করেছে।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা একাত্তরকে ভুলে যেতে চায়, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যেই আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। আগে আমরা রাস্তায় নামিনি বলেই তারা সাম্প্রদায়িকতা ছাড়াতে পেরেছে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ বলেই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই আজকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সবাইকে অসাপ্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।