নদী বা জলাধার দূষণের ফলে পরিবেশগত ক্ষতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাটির ৪৫ ফুট গভীর পর্যন্ত এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। এ কারণে ভূগর্ভস্থ জলাধারেও দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীর আশপাশে এবং সারা দেশের নদীগুলো দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি কাঠামোতে ‘ল’ অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে নদীদূষণ ও দখল রোধ হবে এবং ভূগর্ভস্থ বিশাল সুপেয় পানির উৎসগুলো রক্ষা পাবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘হাইড্রোগ্রামীন প্রকল্পের বাস্তবায়নে ভূগর্ভস্থ জলভাণ্ডারের পরিপূর্ণতা, পানি সংরক্ষণ ও কার্যকারিতা এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার : বুড়িগঙ্গার পানি দূষণমুক্ত করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন বাংলাদেশের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী ড. রাস বিহারী ঘোষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার আমেরিকান নাগরিক প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিবেশ বিশেষজ্ঞ টমাস হারুন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বিনয় পাই।
তারা বলেন, ক্রমবর্ধমান পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিসহ নদ-নদী দখল ও দূষণের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বুড়িগঙ্গায় পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। এসব বিষয়ে পরিত্রাণ পেতে হলে হাইড্রোগ্রামীন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।