মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে ৯৪ ভাগ কিশোর-কিশোরী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৬ এএম
বয়ঃসন্ধিকাল একটি রূপান্তরের সময়, যখন কিশোর-কিশোরীরা মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের। বিশ্বব্যাপী প্রতি সাতজনে অন্তত একজন কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ভুগছে। বাংলাদেশে ৯৪ ভাগ কিশোর-কিশোরী মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে রয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে তাদের মনোজগতে। এটি তাদের সুস্থ বিকাশের ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে। ফলে এখনই কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
সোমবার ইউনিসেফের সহযোগিতায় রাজধানীর ডেভলপমেন্ট রিসার্স নেটওয়ার্ক (ডিনেট) কার্যালয়ে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ইসমত জাহান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অ্যাডলোসেন্ট অ্যান্ড স্কুল হেলথ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শামসুল হক, অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালের শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ডা. সাদিয়া আফরিন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের মাতৃ ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা রাফি, সাজেদা ফাউন্ডেশনের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির প্রধান রুবিনা জাহান, ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি লিড মনিরা রহমান, এভার কেয়ার হাসপাতালের শিশু মনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তারানা আনিস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনরোগ চিকিৎসক এসএম ইয়াসির আরাফাত।
এ সময় বক্তারা বলেন, বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা শারীরিক, মানসিক, এবং সামাজিকভাবে অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এই পরিবর্তনগুলি তাদের জীবনযাত্রার অবস্থা, কুসংস্কার, বর্জন, সমর্থনের অভাবের মানসিক ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। এটি মানসিক, আচরণগত এবং এমনকি নিজের ক্ষতি করার মতো বিভিন্ন ঝুঁকির কারণ হতে পারে।তাই কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য কার্যক্রমে সাফল্যের জন্য কমিউনিটি প্রস্তুতি, বাস্তবায়ন ও গবেষণার বিকল্প নেই।