Logo
Logo
×

রাজধানী

চলছে বিএনপি-জামায়াতের ৪র্থ দফার অবরোধ, রাজধানীতে গণপরিবহণ কম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৫ এএম

চলছে বিএনপি-জামায়াতের ৪র্থ দফার অবরোধ, রাজধানীতে গণপরিবহণ কম

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধ চলছে। আজ ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করছে দলগুলো।

সকালে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ীতে গণপরিবহণ কম চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করছে সড়কে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে বাড়তি নজরদারি। সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকার আশপাশের জেলায়ও মোতায়েন করা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা দেন, আজ রোববার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্যামা পূজার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান অবরোধ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ঘোষিত চতুর্থ দফা সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। 

এ সময় রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির অবরোধে সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন জানিয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে, গ্রেফতার-নির্যাতন করে লাভ হবে না। 

তিনি বলেন, দেশের ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে বাইরে রেখে এ দেশে আর কোনো পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। জনগণের সামনে আর কোনো অপশক্তিই টিকবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।

এদিকে অবরোধের সমর্থনে শনিবার রাতে রাজধানীতে ৭টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আরামবাগ, গুলিস্তান, গাবতলী, শ্যামলী, আগারগাঁও ও যাত্রাবাড়ীতে এসব আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে অনাবিল পরিবহণের বাসটিতে দেওয়া আগুনে মো. জব্বার মিয়া নামে এক রিকশাচালক দগ্ধ হয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের দিন থেকে ৯ নভেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১২৩টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর ১টি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১০টি এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর মোট ১৩টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। 

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে দলটি। পরে সেই হরতালে সমর্থন জানান জামায়াতে ইসলামী। 

একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে দল দুটি। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮ থেকে ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত। পরে তৃতীয় দফা অবরোধের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে রোববার (১২ নভেম্বর) ও সোমবার (১৩ নভেম্বর) টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রুহুল কবির রিজভী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম