Logo
Logo
×

রাজধানী

হোলসেল ক্লাবে পণ্য ও সেবার মানে সন্তুষ্ট ক্রেতা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম

হোলসেল ক্লাবে পণ্য ও সেবার মানে সন্তুষ্ট ক্রেতা

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’ চার বছর পেরিয়ে পাঁচ বছরে পা রেখেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি মানুষকে ধারাবাহিকভাবে বিশ্বমানের পণ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। 

ইউরোপ-আমেরিকার আদলে এই মার্কেটের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিকমানের নিত্যপণ্য পৌঁছে দিচ্ছে স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানিজ ‘যমুনা গ্রুপ’। তাই পণ্য ও সেবার মানে সন্তুষ্ট ক্রেতা।

ব্যবসায়িক চিন্তা নয়, সেবার লক্ষ্য নিয়েই ক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করছে হোলসেল ক্লাব। ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর যুমনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলাম এই হাইপার মার্কেট উদ্বোধন করেন। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের অন্যতম গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত।

রোববার যমুনা ফিউচার পার্কের হোলসেল ক্লাবে চতুর্থ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের অন্যতম গ্র“প পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত ও যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ। এ সময় হোলসেল ক্লাবের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

কেক কাটা শেষে গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত ফিতা কেটে চা পয়েন্ট, ওয়ার্ল্ড ফ্লাই ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, আর্ট এলিগেন্স, আই অপটিক্যাল, দি ওয়্যারহাউজ, স্লাস কফি রোস্টিং কোম্পানি উদ্বোধন করেন। 

এ সময় তিনি বলেন, ‘দেখতে দেখতে হোলসেল ক্লাব চার বছর পার করল। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আয়োজন থাকে। এবারও আয়োজন করা হয়েছে। বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়েছে। আশা করি, পুরো এক মাস ক্রেতারা হোলসেল ক্লাবের বিভিন্ন আয়োজন উপভোগ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা যুমনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এই মার্কেট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল দেশের মানুষের কাছে বিশ্বমানের নির্ভেজাল পণ্য পৌঁছে দেওয়া। আমরা সেই উদ্দেশ্য পূরণ করে চলেছি। বাবার আদর্শে এবং দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।’ 

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সবমিলে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে। 
হোলসেল ক্লাবের প্রতিশ্রুতি হলো গুণগতমানের পণ্য সহনীয় দামে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কসমেটিক্স, খাবার আইটেম, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে একজন মানুষের ব্যবহৃত সব পণ্য পাইকারি দরে পাওয়া যাচ্ছে। 

দেশের সবচেয়ে বড় এবং অত্যাধুনিক এই হাইপার মার্কেটে প্রবেশ করেই ক্রেতারা বিস্ময় প্রকাশ করছেন। এখানে থরে থরে সাজানো আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের সামগ্রী। গ্রাহকরা বলছেন কী নেই এখানে! মাছ, মাংস, শাকসবজি, চাল, ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের দৈনন্দিন বাজার, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ফলমূল, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, ওষুধ, বই এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে এই মার্কেটে। প্রতিদিনই এখানে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা ভিড় করেন। 

গুলশান-১ থেকে আসা তানিয়া সুলতানা বলেন, আমি বিভিন্ন দেশ ঘুরেছি। সেখানকার শপে গিয়ে কেনাকাটাও করেছি। আর হোলসেল ক্লাবেও কেনাকাটা করি। দেশের বাইরের তুলনায় এই প্রতিষ্ঠানটি কোনো অংশে কম নয়। বিদেশে যেসব পণ্য কিনতাম, তার সবই হোলসেল ক্লাবে পাওয়া যায়। তাই কেনাকাটা করতে হোলসেল ক্লাবেই আসি। 

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৫০টির বেশি ভেন্ডর এবং ১০ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য মিলছে এখানে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া মিলছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ শতাধিক কর্মী কাজ করছেন। ক্রেতাদের ভিড় এড়াতে রয়েছে ৩০টি ক্যাশ কাউন্টার। যেখানে একসঙ্গে অনেক ক্রেতা বিল পরিশোধ করতে পারছেন। 

দুই ধরনের মেম্বারশিপ কার্ড রয়েছে। এগুলো হলো স্টার কার্ড এবং এক্সিকিউটিভ কার্ড। ক্লাবের কার্যক্রম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে। তবে ক্রেতাদের চাহিদার বিবেচনায় তা ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম