Logo
Logo
×

রাজধানী

মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মারধর

Icon

মোহাম্মদপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৬ এএম

মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মারধর

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ব্যক্তিগত একটি প্রাইভেটকারকে মামলা দেওয়ায় নারী সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

মারধরের শিকার নারী সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে পরদিন বুধবার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তাসফিয়া ইসলাম (২২) ও তার মা দিলারা আক্তারকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে শিয়া মসজিদ ক্রসিং এলাকায় সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন ডিউটি করছিলেন। ওই সময় মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে রং পার্কিং করা দুটি প্রাইভেটকারকে সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর ৮৭ ধারায় প্রতিবন্ধকতার মামলা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ঢাকা মেট্রো-গ-৪২-১৩০১ গাড়ির মালিক পরিচয়ে দিলারা আক্তার নামে একজন নারী তাকে জিজ্ঞেস করেন গাড়িতে কেন ৫ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে? এ সময় ওই নারী সার্জেন্ট বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা থেকে রং পার্কিংয়ের ভিডিও দেখালে  অভিযুক্ত ওই নারী ও তার মেয়ে রেগেমেগে নারী সার্জেন্টকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। 

এ সময় 'তুই আমার গাড়িতে মামলা দিলি কেন' বলেই তারা মা-মেয়ে মিলে নারী সার্জেন্টকে কিল,ঘুসি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। তাকে মারধর করেছে দেখে ডিউটিতে থাকা দুই কনস্টেবল এগিয়ে আসলে তাদের দিকেও তেড়ে গিয়ে তাদেরও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। তখন নারী সার্জেন্টের সঙ্গে থাকা ওয়াকিটকি, বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন এবং গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনও রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন ওই দুই নারী। 

মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ এসেও তাদের থামাতে পারেননি। উলটো তারা থানা পুলিশের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। খবর পেয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ (তেজগাঁও) জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনার পর মামলার পরামর্শ দিলে ওই নারী সার্জেন্ট  বাদী হয়ে মা-মেয়ের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করে। 

আরও পড়ুন: দাওয়াত না পেয়ে যে কাণ্ড করলেন ছাত্রলীগ নেতা

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের মা মেয়েকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে আসি। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম