Logo
Logo
×

রাজধানী

কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

Icon

মোহাম্মদপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম

কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লাগার পর কলাপসিবল গেট ভাঙতে ভাঙতেই সব পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। মার্কেটে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় মার্কেটে প্রবেশের ৮টি কলাপসিবল গেট বন্ধ ছিল। 

আগুন লাগার প্রায় ঘণ্টাখানেক পার হয়ে গেলেও কোনো নিরাপত্তাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কোনো কর্মী মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ব্যবসায়ীরা কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। 

ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানিয়েছেন, মাত্র চারজন সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে চলত কৃষি মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগুন লাগার রাতে মার্কেটের কলাপসিবল গেট ভাঙতে ভাঙতেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের খবর পেয়েই মার্কেটে ছুটে আসেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় মার্কেটে প্রবেশের ৮টি কলাপসিবল গেট বন্ধ ছিল। আগুন লাগার প্রায় ঘণ্টাখানেক পার হয়ে গেলেও কোনো নিরাপত্তারক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এজন্য ফায়ার সার্ভিসের কোনো কর্মী মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। ফলে পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ব্যবসায়ীরা কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙেন। এছাড়া মার্কেটের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করে মার্কেটের জন্য কাজ না করারও অভিযোগ তাদের।

দুটি দোকানের মালিক ব্যবসায়ী এমএ লতিফ বলেন, আগুন লাগার খবরে ছুটে এসে দেখি, মার্কেটের ৮টি কলাপসিবল গেই তালাবদ্ধ। এতে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। 

আব্দুল বদি নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটের বর্তমান কমিটি মার্কেট থেকে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে। মার্কেটের জন্য কোনো কাজ করেনি। কাগজে-কলমে ২১ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও নামে মাত্র চারজন নিরাপত্তারক্ষী ডিউটি করেন। ঘটনার রাতেও আগুন লাগার পর মার্কেটে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না।

এ ছাড়া নাজিম হোসেন শিপলু, লতিফ মাস্টার, আজিজ মিয়াসহ প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী একই রকম অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি সলিমুল্লাহ সলুর মোবাইল ফোনে দফায় দফায় কল দেওয়া হয়। খুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দেননি। 

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিয়া চাঁন মিয়া মোবাইলে যুগান্তরকে বলেন, আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। আমি কোনো কথা বলতে পারব না। আপনি এ বিষয়ে আমাদের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম