থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ২ নেতাকে নির্যাতন, যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩২ পিএম
রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রোববার সকালে যুগান্তরকে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ছাত্রলীগের ছেলেদের সঙ্গে এডিসি হারুনের গণ্ডগোল হয়েছে। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন— ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরেও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে তাদেরকে পেটান। এরমধ্যে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখমণ্ডল মারত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে।
এ বিষয়ে জানতে শনিবার দিবাগত রাতে এডিসি হারুন অর রশিদকে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্য কোনো কর্মকর্তাকেও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে অতি উৎসাহী হয়ে শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগ উঠেছিল। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক এক সভাপতির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বিভিন্ন মহলে পরিচিত।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ
এদিকে থানায় নিয়ে দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে বেদম পেটানোর ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। তারা এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও সরব হয়েছেন তারা।