হোলসেল ক্লাবে বিশেষ অফার: সফট ড্রিংকস ও চিপস পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ক্রেতার কথা চিন্তা করে বিশেষ অফারে পণ্য বিক্রি করছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা সফস ড্রিংকস ও চিপস পণ্যে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অফার চলবে। বুধবার হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ব্যবসা করে লাভ নয়, ক্রেতাদের সেবা দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে দেশে ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। আর যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তব রূপ হচ্ছে হোলসেল ক্লাব। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত।
হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, হোলসেল ক্লাব ক্রেতাসাধারণকে পণ্য সরবরাহ করে সেবা প্রদান করছে। তাই চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নামিদামি আমদানি করা পণ্য বিশেষ অফারে বিক্রি করা হবে। আমরা কুরবানির ঈদের আগে বিভিন্ন পণ্য সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে সরবরাহ করেছি। ঈদের পর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য আকর্ষণীয় অফারে বিক্রি করছি। এর ধারাবাহিকতায় সফট ড্রিংকস ও চিপস পণ্যে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, হোলসেল ক্লাব উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এই মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি পণ্য আমদানি করা। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে।
এদিকে হোলসেল ক্লাবে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, চাল-ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই, এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এসব পণ্যের বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড ও দেশি ব্র্যান্ডের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ মার্কেট। হোলসেল ক্লাবে ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক বড় পরিসরে হওয়ায় এখানে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন সবাই। এ ছাড়া রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।