পা দিয়ে গলা চেপে নির্মমভাবে শিশু গৃহকর্মীকে হত্যা করেন সাথী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ১০ বছরের গৃহকর্মী হত্যাকাণ্ডে গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার যশোর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিজের সন্তানের জন্য রাখা খাবার খেয়ে ফেলায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, শিশুটিকে ডাল-ঘুটনি দিয়ে পিটিয়ে ও পা দিয়ে গলা চেপে নির্মমভাবে হত্যা করেন গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন।
তিনি বলেন, নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে বাচ্চাটি সহ্য করতে পারেনি। তার নির্যাতনের চিত্র সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে।
উপ-কমিশনার আশরাফ হোসেন আরও বলেন, সাথী বাসায় চারটি মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যান। তার সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। জব্দ করা চার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সাথীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার যশোর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কলাবাগানের ভূতের গলির ওই ফ্ল্যাটে সাথী পারভীন তার তিন বছর বয়সি শিশু সন্তানকে নিয়ে বাস করতেন। নিহত শিশুটি ওই ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর কাজ করত।
গত ২৫ আগস্ট শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান সাথী। পরে ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করে কারো আওয়াজ না পাওয়ায় থানায় জানানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রতিবেশীদের কয়েকজন জানিয়েছিলেন, শিশুটিকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখা হয়েছিল।
শিশুটির বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। তার বাবা-মা দুজনই মারা গেছেন। তিন বছর আগে ময়মনসিংহে একটি প্রশিক্ষণে গিয়ে শিশুটির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসেন গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন।