Logo
Logo
×

রাজধানী

হোলসেল ক্লাবে বিশেষ অফার, পোষা প্রাণীর পণ্যে ২০% মূল্য ছাড়

দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্যের দামও নাগালে 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম

হোলসেল ক্লাবে বিশেষ অফার, পোষা প্রাণীর পণ্যে ২০% মূল্য ছাড়

গ্রাহকসেবা আর ক্রেতার সুবিধার কথা চিন্তা করে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এখানে শুধু নিত্যব্যবহার্য পণ্য নয়, পেট কেয়ার বা পোষা প্রাণীর যত্নে ব্যবহৃত নানা পণ্যেও ২০% মূল্য ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এখানে আসা ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি লক্ষ করা গেছে।

এদিকে ব্যবসায়ী চিন্তা নয়, ক্রেতার সেবার দিক লক্ষ রেখে কুরবানির ঈদের আগে থেকেই নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করেছে হোলসেল ক্লাব। এর ধারাবাহিকতায় এখানে ঈদের পরও ২০ শতাংশ মূল্য ছাড়ে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। আর উন্নত বিশ্বের আদলে এ মার্কেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তব রূপ হচ্ছে ‘হোলসেল ক্লাব’। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত। 

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ যুগান্তরকে জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানি করা পণ্যের ওপর বিশেষ অফারে পণ্য বিক্রি করা হবে। কারণ হোলসেল ক্লাব ব্যবসা নয়, ক্রেতাদের সেবা দিতে চায়। এ জন্য আমরা কুরবানির ঈদের আগে বিভিন্ন পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য সরবরাহ করেছি। ঈদের পর বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য বিভিন্ন অফারে বিক্রি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে পেট কেয়ার বা পোষা প্রাণীর যত্নে ব্যবহৃত পণ্যে ২০% ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

গুলশান-১ থেকে আসা লাবনী আক্তার যুগান্তরকে বলেন, শখ করে আমি দুটি বিড়ালের ছানা ঘরে পুষি। কিন্তু ওদের যত্নে ব্যবহৃত পণ্য সব জায়গায় পাওয়া যায় না। হোলসেল ক্লাবে মানুষের ব্যবহৃত সব ধরনের পণ্যের সঙ্গে পোষা প্রাণীর পণ্য পাওয়া যায়। তাই সবসময় এখান থেকে পণ্য কিনে থাকি। এবার এসে দেখি বিভিন্ন পণ্যের অফার দেওয়া হয়েছে। তাই যে বাজেট রেখেছিলাম, সেই টাকায় বেশি পণ্য কিনে নিয়ে যেতে পারছি। এতে আমার উপকার হয়েছে।

খিলক্ষেত থেকে আসা ইকরামুল হক বলেন, কী নেই হোলসেল ক্লাবে? ভেজালের ভিড়ে আসল পণ্য এখান থেকে কিনতে পারি। তাই হোলসেল ক্লাব আমার আস্থার স্থান। আর বড় জায়গা থাকায় এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা যায়। সব মিলে আমি সন্তুষ্ট।  

সূত্র জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠান হোলসেল ক্লাব। এ ছাড়া উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা পণ্য। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে।

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। এখানে ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় এসব পণ্যের বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড ও দেশি ব্র্যান্ডের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ মার্কেট। ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া কেনাকাটা করতে এসে রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুডও পাওয়া যাচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম