দোতলা বাড়ি পেল ‘ভালো কাজের হোটেল’
যুগান্তর প্রতিবেদন ও পুরান ঢাকা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৭ পিএম
সামাজিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ভালো কাজের হোটেল’-এর নামে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের একটি দোতলা বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামে ৪০০ বর্গফুটের বাড়িটি পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান।
বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আরিফুরের হাতে এই বাড়ির বরাদ্দপত্র প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ভালো কাজের হোটেল’ একটি মানবিক সংগঠন। এই সংগঠনটি ঢাকায় অনাহারী মানুষের একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করছে। তবে বিনামূল্যে নয়, একটি ভালো কাজের বিনিময়ে খাবার পান তারা। জানতে পেরেছি তারা প্রতিদিন প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। যারা অন্যের সেবায় কাজ করেন তাদের সাধুবাদ জানাই। জেলা প্রশাসন সব সময় এ রকম ভালো কাজের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, শুধু তাই নয়, তারা ‘ডেইলি টেন’ নামে একটি স্কুল পরিচালনা করে-বৃত্তিমূলক কার্যক্রম ও এতিম বাচ্চাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করছে।
বরাদ্দ দেওয়া বাড়ির কাগজ হাতে পেয়ে আরিফুর রহমান বলেন, আজ আমার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে। আমরা এসব ভালো কাজ করতাম পথে পথে। আমাদের কোনো অফিস বা নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। প্রথম দিকে কমলাপুরে যখন রাস্তার পাশে রান্না করতাম, আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর মাসে ১৫ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কাজ করছি। এখন আমরা একটা স্থায়ী জায়গা পেলাম। এখন আর আমাদের কেউ তাড়িয়ে দিতে পারবে না। আমরা অসহায় মানুষের জন্য একটি স্থায়ী কিচেনের ব্যবস্থা করতে পারব-বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি ছোটবেলায় হুমায়ূন আহমেদ স্যারের একটি নাটক দেখে ‘ভালো কাজের হোটেল’ খুলতে অনুপ্রাণিত হই। পরে ভার্সিটিতে ভর্তির পর বন্ধু ও ছোট ভাইদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি এবং কাজ শুরু করি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মমতাজ বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) পারভেজ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী হাফিজুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শিবলী সাদিক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শাখাওয়াত জামিল সৈকত ও সহকারী কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।