Logo
Logo
×

রাজধানী

সুগন্ধি, হেয়ার ও বেবি কেয়ার পণ্যে ২০% ছাড়

হোলসেল ক্লাবে ক্রেতার প্রশান্তি

এক ছাতার নিচে দেশি-বিদেশি সব পণ্য, দামও হাতের নাগালে 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১১:০১ পিএম

হোলসেল ক্লাবে ক্রেতার প্রশান্তি

দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির এ সময় সহনীয় দামে দেশি-বিদেশি পণ্য ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। ব্যবসায়ী চিন্তা বাদ দিয়ে ভোক্তাদের সেবার দিক লক্ষ্য রেখে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করছে এই প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য স্থানে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করা হলেও হোলসেল ক্লাবে বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিশেষ অফারের ব্যবস্থা রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সুগন্ধিপণ্য, হেয়ার ও বেবি কেয়ার পণ্যে ২০% ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ কারণে কেনাকাটা করতে এসে ক্রেতারা প্রশান্তি অনুভব করেন।

উন্নত বিশ্বের আদলে এ মার্কেটের মাধ্যমে ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তবরূপ হচ্ছে ‘হোলসেল ক্লাব’। তার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত। 

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ যুগান্তরকে জানায়, চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমদানি করা নামিদামি পণ্যের ওপর বিশেষ অফারে পণ্য বিক্রি করা হবে। কারণ হোলসেল ক্লাব ব্যবসা নয় বরং ক্রেতাদের সেবা দিতে চায়। এজন্য আমরা কুরবানির ঈদের আগে বিভিন্ন পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য সরবরাহ করেছি। এবার ঈদের পর বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যে বিভিন্ন অফারে পণ্য বিক্রি করব। এর মধ্যে সুগন্ধিপণ্য, হেয়ার ও বেবি কেয়ার পণ্যে ২০% ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যা বিভিন্ন দেশ থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানি করা হয়েছে। 

বুধবার রামপুরা থেকে হোলসেল ক্লাবে কেনাকাটা করতে আসেন হাসিনা বেগম। তিনি যুগান্তরকে জানান, এখানে কেনাকাটায় প্রশান্তি অনুভব করি। কারণ অনেক বড় জায়গা। আর বাইরে কোথাও কেনাকাটায় স্বস্তি নেই। একটি পণ্য মিললে আরেকটি পণ্যের জন্য অন্য স্থানে যেতে হয়। কিন্তু হোলসেল ক্লাবে এক ছাতার নিচে সব পণ্য আছে। সপ্তাহের বাজার থেকে শুরু করে নিত্যব্যবহার্য পণ্য, নাস্তা আইটেম, কসমেটিক্স, ঘর সাজানো পণ্য-সব এখান থেকে কিনতে পারি। যে কারণে কোনো কিছু দরকার হলে এখানে চলে আসি।

হোলসেল ক্লাবে কথা হয় ক্রেতা রবিউল ও সাথী দম্পতির সঙ্গে। তারা বলেন, ‘আমাদের আট মাসের মেয়ের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। দুধসহ বিভিন্ন বেবি কেয়ার পণ্য কিনব। এখানে এসে দেখি বেবি কেয়ার পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। ভালোই লাগছে। কারণ এখানে এমনিতেই সব পণ্য সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়, এর মধ্যে ছাড় থাকলে এই দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির সময় একটু হলেও অর্থ সাশ্রয় হয়। তাই মেয়ের জন্য যা যা দরকার, সব পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’ 

সূত্র জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে হোলসেল ক্লাব। উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যায়। সবমিলে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হয়।

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পণ্য বিক্রি হয়। মাছ, মাংস, শাকসবজি, চাল-ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ফলমূল, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই, এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে এ মার্কেটে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো-এসব পণ্যের বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড ও দেশি ব্র্যান্ডের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ মার্কেট। ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কেনাকাটা করতে এসে রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম