Logo
Logo
×

রাজধানী

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় আদনান খুন, গ্রেফতার ৩

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১০:০৩ পিএম

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় আদনান খুন, গ্রেফতার ৩

ফাইল ছবি

ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আদনান সাঈদ রাকিবকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-রমনা বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলেন- ইকবাল, সুমন ওরফে কালু সুমন ওরফে ছোট সুমন ও সুমন ভূঁইয়া ওরফে বড় সুমন। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, অটোরিকশা ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

তিনি বলেন, গত রোববর রাত সাড়ে ৯টায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আদনান সাঈদ রাকিব ও তার বন্ধু রাইয়ান কলাবাগানে গ্রিনরোড স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে বেরিয়ে ধানমন্ডিতে রবীন্দ্র সরোবরে চা খেতে যায়। চা খেয়ে ফেরার পথে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে মিরপুর রোড সংলগ্ন শেখ জামাল মাঠের পূর্বপাশে নার্সারির সামনে ৪ ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ দিতে বলে। রাইয়ান তার মোবাইল ফোন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আদনান মোবাইল ফোন দিতে অনীহা প্রকাশ করলে ছিনতাইকারীরা চাকু দিয়ে গুরুতর আঘাত করে ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। 

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, গুরুতর জখমপ্রাপ্ত আদনান রাস্তা পার হয়ে পূর্বপাশে গ্রিনরোড স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে রাস্তায় পড়ে যায়। সেখানকার পরিচিত এক ব্যক্তি আদনানের বাবা ও বড় ভাইকে খবর দেন। তার বড় ভাই, তার বন্ধু এবং ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আদনানের বাবা ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ঘটনার পর হতে ডিবি-রমনা বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন মাধ্যমে সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশা এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদের পর ছিনতাইয়ের ঘটনা কিছুটা বেড়েছিল। এরপর ডিবি ও থানা পুলিশ ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে আমরা (ডিবি) প্রায় ১০০ জনের মতো ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছি। 

তিনি বলেন, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট ও রমনা এলাকার সব থেকে বড় ছিনতাইকারী সরদার কামরুলসহ অনেককে আমরা গ্রেফতার করেছি। মাঝে-মধ্যে বিচ্ছিন্ন যে দুয়েকটা ঘটনা ঘটে সেগুলোর যদি আমরা খবর পাই, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে যেন থানা পুলিশকে জিডি বা অন্য কোনোভাবে জানানো হয়। থানা পুলিশ যদি রেসপন্স না করে তাহলে ডিবিকে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। ছিনতাইকারীদের হামলায় পুলিশ সদস্য নিহত ও একজন সাংবাদিক আহত হওয়ার পর ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

ধানমন্ডির ঘটনায় অভিযুক্তরা জামিনে বের হওয়া ছিনতাইকারী কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনা ঘটার ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছি। অভিযুক্তরা রায়েরবাজার বস্তি এলাকায় থাকত। এরা আগে গ্রেফতার হয়ে জামিনে বের হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছি। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, অন্ধকার জায়গাগুলোতে আলোর ব্যবস্থা থাকলে এ ধরনের ঘটনা কমতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম