Logo
Logo
×

রাজধানী

পশুতে ভরে গেছে আফতাবনগর হাট, বিক্রি শুরু শনিবার

Icon

ভাটারা (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম

পশুতে ভরে গেছে আফতাবনগর হাট, বিক্রি শুরু শনিবার

রাজধানীর অস্থায়ী কুরবানির পশুর হাটগুলোতে সরকারি অনুমোদনে বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল (শনিবার)। তবে ইতোমধ্যে হাটের প্রায় প্রতিটি স্থান ভরে গেছে পশুতে। ঈদের দিনসহ পাঁচ দিন পশু বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে। সেই হিসাবে শনিবার (২৪ জুন) থেকে বেচাকেনা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই কুরবানির পশু কেনার পূর্ব ধারণা নিতে লোকজনে সরব আফতাবনগর হাট। পরিবেশ দেখে পশু ব্যাপারীরা খুশি হলেও শঙ্কিত ন্যায্য লাভ পাওয়ার বিষয়ে।  

শুক্রবার আফতাবনগর হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, হাটের প্রায় খুঁটির সঙ্গে গরু বাঁধা। ব্যাপারীরা তাদের পশুর পরিচর্যা করছেন। সে তুলনায় অবশ্য ক্রেতা ছিল না। 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদ ও তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় অনেককে ছাউনি তৈরি করে পশুকে ছায়ায় রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। হাটের বিভিন্ন স্থানে সতর্কতামূলক ব্যানার এবং অনলাইন ব্যাংকিং করে কিভাবে কুরবানির পশুর মূল্য পরিশোধ করা যাবে, সে সংক্রান্ত লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মাঝে মধ্যে মাইকিংও করা হচ্ছে। 

পাবনার আতাইকুলা থানার গরু ব্যাপারী আতাউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘২৩টি গরু নিয়ে আজ মাঠে ঢুকেছি। এখন মানুষ শুধু দাম জিজ্ঞাসা করে ছবি তুলে চলে যায়। কেউ কিনছে না। আগামীকাল (শনিবার) থেকে বেচাবিক্রির অনুমতি আছে। আজ (শুক্রবার) যাতে কেউ বিক্রি না করে, সেটাও বলে গেছে ইজারাদার।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৩টি গরুর মধ্যে ১২টি গরু কিনে এনেছি। গতবছরের তুলনায় এবছর প্রতিটি গরুতে ১০-১২ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। যে কারণে এবার দাম একটু বেশি পড়বে।’

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সবেমাত্র গরু এনেছি। হাটের প্রতিটি বাঁশে গরু আছে। সে তুলনায় মানুষ নেই। মানুষ কিনবে শেষের দু’দিন। এখন শুধু দেখবে, দামাদামি করবে আর ছবি তুলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ১৭টি গরু এনেছি। সব নিজের খামারের। সবচেয়ে বড় গরুর দাম ছয় লাখ টাকা। সাড়ে পাঁচ লাখ হলে ছেড়ে দেব। তবে দুই লাখের নিচে কোনো গরু নেই আমার।’

আফতাবনগর হাটের ইজারাদার আব্দুল মান্নান যুগান্তরকে বলেন, আমাদের এই হাট প্রায় ৪০ হাজার গরুর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।  ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার গরু হাটে ঢুকে গিয়েছে। আশা করি, আজ-কালের (শুক্র ও শনি) মধ্যে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী গরু হাটে ঢুকে যাবে।’

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় এই হাটে এইবার আমরা আধুনিক অনেক সুযোগ সুবিধা চালু করেছি। গাড়িতে বসে গরু কেনা অথবা গাড়ি পার্কিংয়ের পাশে দাঁড়িয়েই গরু কিনতে পারবে গ্রাহকেরা। ব্যবসায়ীদের টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত হাসিল ঘর তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া এবার পশুর মূল্য পরিশোধের লক্ষ্যে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে সার্বক্ষণিক পশু চিকিৎসক থাকছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় পুরো হাটটি সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চৌকি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া হাটের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য তিন হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করবেন।

পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে হাটে ঘুরতে এসেছিলেন ইফতেখার হোসাইন সুজন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আজ বাচ্চাকে গরু দেখাতে এসেছি। পাশাপাশি নিজের কুরবানির জন্য কয়েকটি গরু পছন্দও হয়েছে। পরবর্তীতে দামদর চূড়ান্ত করে এরমধ্যে থেকে একটি গরু কেনার নিয়ত করেছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম