যে কারণে ঢাকা চিড়িয়াখানায় নিরাপত্তা জোরদার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফাইল ছবি
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার বৃষ্টির মধ্যে ভোর থেকেই হায়েনার খাঁচার চারপাশে থাকা নিরাপত্তা দেয়াল উঁচু করে গ্রিল স্থাপন করা শুরু হয়। এছাড়া অন্য প্রাণীর খাঁচার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের সতর্কতায় মাইকিং এবং ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে সচেতনবার্তা প্রচার করছিলেন। শ্রমিকরা বৃষ্টির মধ্যেই হায়েনার খাঁচার চার পাশে থাকা লোহার নিরাপত্তা বেষ্টনী গ্রিল লাগিয়ে দেয়। হায়েনার খাঁচার চার পাশে দেড় ফুট উঁচু বেষ্টনী রয়েছে। একই উচ্চতার বেষ্টনী বিভিন্ন প্রাণীর খাঁচার চার পাশেই রয়েছে। এখন উচ্চতা আরও বাড়িয়ে বেষ্টনী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে কঠোর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বেষ্টনীর ভেতরে কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, হায়েনা খাঁচার চার পাশে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার শিশুর দুর্ঘটনার খবরে দর্শনার্থীর অনেকেই সেখানে ভিড় জমায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, সতর্কতার পরেও থেমে নেই হিংস প্রাণীকে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা। দর্শনার্থীদের বুঝিয়ে বলার পরেও বিভিন্ন প্রাণীকে হয়রানি করে। খাবার খাওয়াতে চায়। নিরাপত্তা বেষ্টনী পাড় হয়ে মূল খাঁচার কাছে চলে যায়।
চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরো চিড়িয়াখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী করা প্রয়োজন তাও নির্ণয় করা হচ্ছে। তিনি জানান, চিড়িয়াখানায় ২৩৭ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১৩২ জন। এদিকে আহত শিশুর চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। পঙ্গু হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. উৎপল চন্দ্র জানান, আপাতত ভয়ের কিছু নেই। শিশুটি আগের চেয়ে বেশ সুস্থ আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে পরে হাতের কব্জি সংযুক্ত করা যাবে।