রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামে পুলিশের হাত থেকে এক আসামি পালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় মিরপুরের দারুস সালাম থানার সামনে এ ঘটনাট ঘটে।
পলাতক আসামির নাম সুমন ওরপে বাবুর্চি সুমন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫টি চুরির মামলা রয়েছে।
এদিকে বাবুর্চি সুমন দারুস সালাম এলাকায় দুর্ধর্ষ চোর হিসেবে পরিচিত। থানার সামনে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে দারুস সালাম থানার ৫০ গজের ভেতরে গোলারটেকের ৩/১ হোল্ডিং নম্বরের টিনশেড বাড়িতে চুরি করতে যায় বাবুর্চি সুমন। এ সময় হঠাৎ অস্বাভাবিক শব্দে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া কালামের ছেলে মিরাজের ঘুম ভেঙে যায়। চোর চোর বলে চিৎকার দিতে থাকে। পরে চোরকে (বাবুর্চি সুমন) পেছন থেকে জাপটে ধরেন মিরাজ। এ সময় ওই চোর ( বাবুর্চি সুমন) তার হাতে থাকা একটি ধারালো কাঁচি দিয়ে মিরাজকে আঘাত করেন। এ সময় মিরাজের চিৎকারে তার স্ত্রী মুন্নি এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করেন বাবুর্চি সুমন।
এদিকে স্বামী স্ত্রীর চিৎকারে বাড়ির ম্যানেজার সাদ্দাম এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করে বাবুর্চি সুমন। বাড়ির লোকজনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে বাবুর্চি সুমনকে ধরে আটকে রাখে।
এর পর স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে দারুস সালাম থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলের উপস্থিত হয়। স্থানীয়রা বাবুর্চি সুমনকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে।
এ সময় পুলিশ অভিযোগকারীদের থানায় আসতে বলে। অভিযোগকারীরা পুলিশের পিছু পিছু যায়। তবে থানা কম্পাউন্ডে পৌঁছামাত্রই পুলিশের হাত থেকে আটককৃত আসামি সুমন পালিয়ে যায়।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। পুলিশের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করা হয়।
এ বিষয়ে দারুস সালাম থানার ওসি আমিনুল বাশার বলেন, ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।