Logo
Logo
×

রাজধানী

হাতির বাচ্চার জন্য জয়ার মন খারাপ

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম

হাতির বাচ্চার জন্য জয়ার মন খারাপ

১৭ মে রাজধানীর উত্তরায় রেললাইনের উপর পোষা দুই হাতিকে কলাগাছ খাওয়াচ্ছিলেন মাহুত। এ সময় একটি দ্রুতগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই একটি বাচ্চা হাতি মারা যায়। নিহত হাতিটির বয়স আনুমানিক আট বছর।

কোটবাড়ী রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্ট্যাটাসে জয়া লেখেন- এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল কিন্তু উত্তরায় বেঘোরে মারা পড়া হাতির বাচ্চাটার কথা মন থেকে কোনোভাবেই সরিয়ে দিতে পারছি না। সেই কিশোরীবেলা থেকে হাতি আমার মনোরম কল্পনার প্রাণী।

কোনো প্রাণীকে দেখে আমরা ভয় পাই, কোনো প্রাণীর সৌন্দর্যে বিস্মিত হই। কিন্তু হাতি? হাতি তো সব সময়ই আমাদের প্রাণী। হাতির ছানা তো আরও। রূপকথায়, মেঘের আকারে, অ্যানিমেশনে বন্ধু হিসেবে হাতিকে মনের রঙিন কল্পনায় মধ্যে জায়গা দিতে দিতে আমরা বড় হয়েছি।

জয়া আরও লেখেন- এমন একটি আদুরে হাতির ছানা কী মর্মান্তিকভাবেই না মারা পড়ল গত ১৭ মে। উত্তরায় রেললাইনের পাশে মা হাতির সঙ্গে ছানাটিও কলাগাছ খাচ্ছিল। এমন সময় ট্রেন এসে পড়ে। ট্রেনের চালক কাওছার হোসেন বলেছেন, একশ মিটার দূরে থাকতে হাতিটি তাদের নজরে আসে। তখন তারা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন। ট্রেন থামতে দুইশ থেকে তিনশ মিটার জায়গা লাগে। ফলে দুর্ঘটনাটি এড়ানো যায়নি। হুইসেলের শব্দে হাতির শাবকটি ভয় পেয়ে দৌড় দিতে শুরু করে।

আবেগপ্রবণ হয়ে জয়া লেখেন- কিন্তু যন্ত্রসভ্যতার আইনকানুন বেচারা জানবে কোত্থেকে? সে দৌড়াতে শুরু করে রেললাইনেরই ওপর দিয়েই। ট্রেন ওর ওপরে এসে পড়ে। ওকে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বহুদূর পর্যন্ত। শহরে অচেনা এই আগন্তুক লাশ হয়ে যায়। ট্রেনচালক কাওছার হোসেন প্রশ্ন করেছেন, ‘বন্যপ্রাণী কেন রেললাইনে থাকবে? হাতির তো লোকালয়ে আসারই কথা নয়।’ এটা আমাদেরও প্রশ্ন।

বন্যপ্রাণী আইন নিয়ে জয়া লেখেন- যার ঘুরে বেড়ানোর কথা অরণ্যের সবুজে, ওর আপন পৃথিবীতে, সেও কেন ওর অচেনা লোকালয়ে আসবে? আইইউসিএস বলছে, এশিয়ান হাতি তাদের লাল তালিকায় থাকা মহাবিপদাপন্ন প্রাণী। যত্ন না নিলে ম্যামথের মতো একদিন হারিয়ে যাবে তারা। হাতি টিকে থাকবে শুধু গল্পগাথার অস্পষ্ট স্মৃতির ভেতরে। তেমন পৃথিবীই কি আমরা চাই?

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম