‘আমরা সবাই শেষ, কান্না পর্যন্ত আসছে না’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৪৪ পিএম
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা আগুনে টিনশেডের মার্কেটটি একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এক ভুক্তভোগী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা সবাই শেষ, এক্কেবারে শেষ’। আরেক ভুক্তভোগী বলেন, সব শেষ। এখন আর কান্নাও আসছে না।
তিনি বলেন, আমার মার্কেটে দুটি দোকান ছিল। সেখানে ৫-৬ লাখ টাকার মালামাল ছিল, কিন্তু আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার আত্মীয়-স্বজনদের এই মার্কেটে প্রায় ২০০টির মতো দোকান রয়েছে। তাদের সবকিছুই পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমরা দোকান থেকে কেউ কিছু বের করতে পারিনি।
ওই ব্যক্তি বলেন, আমার মামাতো ভাই, খালাতো ভাইয়ের কোটি টাকার ব্যবসা সব শেষ হয়ে গেছে।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমি এখানে ৬টার দিকে উপস্থিত ছিলাম তখন হালকা আগুন ছিল। তখন ফায়ার সার্ভিস ২টি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে উপস্থিত হয়। আগুন জ্বলছে, কিন্তু তাদের কাছে কোনো পানি ছিল না। এর পর আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, আমার দুটি দোকান ছিল। সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। আমার ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার দোকানে সব চায়না কোয়ালিটির ট্রাউজার ছিল। কিছু নেই। কেউ কিছু বের করতে পারেনি। কীভাবে আগুন লাগলো তা বলতে পারব না।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমার এখানে দুটি দোকান ছিল। আমার প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চোখের সামনে লাখ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যাচ্ছে। এখন কান্না আসছে না। কান্না করতে করতে চোখেন পানি শেষ হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, তারা অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়েছেন মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে এবং ঘটনাস্থলে প্রথম ইউনিট পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটের দিকে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবাজারে আদর্শ হকার্স মার্কেট, মহানগরী ও বঙ্গ গুলিস্তান নামে তিনটি অংশ রয়েছে। রাজধানীর ব্যস্ততম এ মার্কেটে সব বয়সী নারী-পুরুষের সব রকমের পোশাক পাওয়া যায়। বঙ্গবাজারের ২১ হাজার ২৫০ বর্গফুট জায়গায় ছোট-বড় অন্তত ৪ হাজার দোকান রয়েছে।