প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রশাসক নিয়োগের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৩ পিএম
ছবি: যুগান্তর
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, সেবায়েতবিহীন মন্দির পরিচালনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাপ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা। এতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে যুগ যুগ ধরে আদালতে মামলা চলছে। ১৮ বছর আগে মন্দির সংস্কারের নাম করে জমির প্রকৃত মালিক ও সেবায়েত স্বর্গীয় রনজিত দাসের পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও একসময়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু মন্দিরের ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রভাবশালী হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্র ও কুপরামর্শে আজও রনজিত দাসের পরিবার জমির ন্যায়বিচার ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মন্দিরের নানাবিধ দুর্নীতি ও সেবায়েত বিহীন মন্দির পরিচালনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা আরো বলেন, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ধর্ম মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সেল গঠন করে বিরাজমান সমস্যার সমাধানের উপায় বের করা হোক।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী মাসুদ আহমেদ বলেন, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হাইকোর্টের একটি রুল জারি রয়েছে। এই রুল দ্রুত নিষ্পত্তি হলেই সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিনি আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্থ রনজিত দাসের পরিবারের পাশে থাকার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।