মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৯ পিএম
শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরিকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে প্র্রধানমন্ত্রীর বরাবার স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)।
ওই দাবিতে সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য বাবু রক্ষিত কুমার সাহা, দাশগুপ্ত আশিষ কুমার, সহ সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা আমান খান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রবীর সোহরাব হোসেন সিকদার, আফতার উদ্দিন চৌধুরী, ইশরাত জাহান আলো, ওবায়দুর রহমান সাম্মি আক্তার সুমি প্রমুখ।
সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়াসহ নেতৃবৃন্দ বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ মাত্র ২৫% উৎস ভাতা, ১,০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে দেওয়া হয়। তাছাড়া সহকারি প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতনস্কেল সহকারি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারি প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাবার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতেও বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। তাছাড়া কয়েক বছর যাবৎ কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪% কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো প্রতিকার পাননি।