পিছিয়ে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশ ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার।
কিন্তু বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের উদ্বোধন পিছিয়ে গেছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ের পিলারগুলো তৈরির কাজ শেষ। প্রকল্পের অন্যান্য কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। বলা চলে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল পর্যন্ত অংশের সিংহভাগ কাজই শেষ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে পুরো উড়াল সড়কের কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনটি ধাপে এ প্রকল্পের কাজ চলছে।
প্রথম ধাপ বিমানবন্দর থেকে বনানী স্টেশন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপ বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। তৃতীয় ধাপ হচ্ছে মগবাজার থেকে চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার অংশ।
এ উড়ালসড়কে যানবাহন চলবে উচ্চগতিতে, সেজন্য এখানে তিন চাকার বাহন চলতে দেওয়া হবে না।
জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এ উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।
মূল উড়াল সড়কে ওঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যা্ম্প থাকবে। র্যামম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াচ্ছে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
শহরের উত্তর-দক্ষিণ সংযোগকারী এ উড়াল সড়কের প্রকল্পটি সরকার হাতে নিয়েছিল ২০১১ সালে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২১ বছর টোল আদায় করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পের ২১০ একর জমির মধ্যে রেলের জমি ১২৮ একর, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৭ একর। সাধারণ মানুষের ২৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাকি জমি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস যুগান্তরকে বলেন, গত ডিসেম্বরে প্রকল্পের আংশিক চালুর ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে যথাসময়ে পুরো কাজ শেষ না হওয়ায় ঘোষিত সময়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের কাজ চলছে। এখনো উদ্বোধন পর্যায়ে যায়নি। কাজ শেষ হওয়া সাপেক্ষ উদ্বোধনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে।