মিরপুরে ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করছেন আকলিমা। ছবি: যুগান্তর
গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচণ্ড তাপদাহে প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। ঘরের ভেতরেও স্বস্তি নেই। ফ্যানের বাতাসেও বের হচ্ছে গরম হাওয়া। গরমে আরাম পেতে ডাবের পানিতে এক চুমুক যেন শরীরে প্রশান্তি বয়ে আনে। একটু ডাবের পানি পান করতে ভেতরটা হাহাকার করে। কিন্তু দাম শুনলেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়!তবুও জানটাকে একটু প্রশান্তি দিতে চড়া দামের দিকে না তাকিয়ে ৬০ টাকার ডাব ১২০ টাকায়ই কিনে খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর ঘুরে ঠিক এমন চিত্রই দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় মিরপুর ৬ নম্বর বাজারের সামনে দেখা যায়, ভ্যান গাড়িতে বসে ডাব বিক্রি করছেন মধ্য বয়স্কা আকলিমা। তার দোকানে ৩০-৩৫টি ডাব রয়েছে। কয়েকজন ক্রেতা তাকে ঘিরে রেখেছেন। তিনি একটার পর একটা ডাব কাটছেন। অনেকে ডাবের পানি ভরে বিভিন্ন পাত্রে রাখছেন। আবার অনেকে ডাবের পানিতে চুমুক দিয়েই কলিজা ঠাণ্ডা করছেন।
আকলিমার দোকানে সব একই আকারের ডাব। বেশিরভাগ ডাব ছোট আকারের। প্রতিটি ডাব ১২০ টাকা। কম দেওয়ার সুযোগ নেই।
আকলিমা জানান, অফ সিজন দেখে ডাবের জোগান কম। দামও বেশি। আড়তে ডাব নেই। আগে আড়তে একেকটি ডাব পাইকারি ৩০-৪০ টাকায় পাওয়া যেত। আর ওই ডাব ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে দাম বেড়ে একই ডাব পাইকারি ৮০-৯০ টাকা হয়েছে। বাজারে এই ডাব ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গরম বেশি পড়ায় ডাবের দাম বেড়েছে। আর গরমে মানুষ অসুস্থ হওয়ায় ডাবের চাহিদাও বেড়েছে।
রুপম নামে এক ডাব ক্রেতা জানান, ঈদের আগে যে ডাব ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যেত ঈদের পর সেই ডাব তারা ১২০ টাকায় কিনে খাচ্ছেন।
এদিকে মিরপুর ঘুরে দেখা গেছে, যেসব জায়গায় ভাসমান ডাব বিক্রেতা ছিল তাদের মধ্যে অনেকে আম, কাঁঠাল, লটকনসহ মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন। তারা আপাতত ডাব বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
মিরপুর ১ নম্বরের ডাবের আড়তদার রতন বলেন, ঈদের আগে ডাবের দাম কম ছিল। ৩০-৪০ টাকায় পাইকারি রেটে ডাব বিক্রি হতো। এখন আড়তে ডাব নেই। ডাবের মৌসুম শেষ। আবার ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় পানি উঠেছে। এ জন্য ডাবের সংকট। ঈদের পর ঢাকায় কোনো ডাব ঢুকেনি। ডাব থাকলেও সেগুলো কচি না। দামও বেশি।