Logo
Logo
×

রাজধানী

বোরকা পরে ক্রিকেট খেলার বিষয়ে যা বললেন সেই মা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:২২ পিএম

বোরকা পরে ক্রিকেট খেলার বিষয়ে যা বললেন সেই মা

বোলিং করছেন পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা এক কিশোর। ব্যাট করছেন বোরকাপরা এক নারী। ওই নারীকে আউট করতে পেরে উল্লাসে আত্মহারা সেই কিশোর। কিশোরের আনন্দে সঙ্গী হতে তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করছেন বোরকাপরা সেই নারী।

গত শুক্রবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাসছে এমন কিছু দৃশ্য। রীতিমতো ভাইরাল সেসব ছবি। দেশের অনেক গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। 

মা-ছেলের এই ক্রিকেট খেলার দৃশ্য ফেসবুকে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তবে বিষয়টিকে নেতিবাচক দৃষ্টিতেও দেখেছেন কেউ কেউ।
 
বিষয়টি নিয়ে ঝর্ণা আক্তার চিনি নামের ওই মায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিবিসি বাংলা অনলাইন।

ঝর্ণা আক্তার বিবিসিকে জানিয়েছেন, ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ায় তিনি ও তার ছেলে ইয়ামিন বেশ খুশি।

উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে ঝর্ণা আক্তার বলেন, পুরো বিষয়টাতে আমাদের পরিবারের সবাই খুশি। কারণ আমাদের পরিবারটা খেলাপাগল। জাতীয় দলের ফুটবলার কাঞ্চন আমার ভাই। আমিও অ্যাথলেট ছিলাম। ধানমন্ডি ক্রীড়াতে আমার ইভেন্ট ছিল জ্যাভলিন থ্রো, হাই জাম্প, লং জাম্প।  ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন ছিলাম আমি। খেলার প্রতি আমাদের আবেগটা অনেক বেশি। তাই এ ব্যাপারটায় আমরা বেশ খুশি।

কিন্তু প্রশংসার মাঝেও অনেক সমালোচিত হয়েছে বিষয়টি। বোরকা পরে ক্রিকেট খেলাকে ভালোভাবে নেয়নি কেউ কেউ।

এমন প্রসঙ্গ টানলে ঝর্ণা আক্তার বলেন, যারা এর সমালোচনা করছেন তারা ভুল করছেন। তারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না।

এখানে একটি অবুঝ শিশুর আবদার তার মা রক্ষা করেছে বলে জানান ঝর্ণা।

বিষয়টিকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মাপতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, এটা তো খারাপ কিছু না যে এ নিয়ে সমালোচনা করা হবে। আমি চাইব যারা ভুল ভেবে সমালোচনা করছেন আল্লাহ যেন তাদের সংশোধন করে দেন। এটা বোঝা উচিত- একজন সন্তান যখন আবদার করে তখন একজন মা কিন্তু সব ধরনের আবদার রাখতে চেষ্টা করেন। বোরকাপরা দেখে সন্তানের আবদার আমি রাখব না এটা কি হয়? সন্তানের কথা রাখতে আমি আরও বোরকা পরে খেলব। সন্তানের আনন্দ আমি দিয়েই যাব; এজন্যই আমি মা।

শুধু পল্টন ময়দানেই নয়, বাসার নিচে সবসময় সন্তানদের সঙ্গে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলেন বলে জানান ঝর্ণা আক্তার। 

বোরকা পরে হঠাৎ পল্টন ময়দানে খেলার বিষয়ে ঝর্ণা আক্তার বলেন, আমার ছেলেটা মাদ্রাসায় পড়ে। ওখান থেকে আমি বিকাল ৪টায় ওকে বাসায় নিয়ে আসি। সেদিন আমি মাঠে আগে চলে আসছিলাম। তখন আমার ছেলে ইয়ামিন আবদার করল- আম্মু তুমি ব্যাটিং কর, আমি বোলিং করি। তখন ওই বোরকাপরা অবস্থায় তার সঙ্গে খেলেছি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম