এডিএইচ জার্মানির আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ পরিচালিত নগর বস্তিবাসী উন্নয়ন প্রকল্পের ৫৮৪ জন উপকারভোগীর মাঝে প্রথম পর্যায়ে শর্তহীন নগদ টাকা বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ঢাকা জেলা ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দরিদ্র বস্তিবাসী পরিবারের সদস্যদের হাতে মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে উপকারভোগীদের হাতে ৫০০০ টাকা তুলে দেয়া হয়।
উপকারভোগীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নগদ অথের্র সহায়তা তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন ন্যাশনাল ডিরেক্টর ও সিনিয়র ডিরেক্টর, অপারেশন অ্যান্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি (এসওডি) চন্দন জেড গমেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মমিন উদ্দিন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা টনি মাইকেল গমেজ ও রনেট লিও গমেজ।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের পক্ষে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ একা করা সম্ভব নয়। শুধু এই করোনার সময় নয়, বাংলদেশের বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
সরকারের পাশাপাশি যারা কাজ করছে তাদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের সকল কাজের জন্য ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই।
চন্দন জেড গমেজ বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সবসময়ই শিশু কল্যাণের জন্যে কাজ করে এবং এই দুর্যোগে শিশু ও তার পরিবারও যেন সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকে তাই কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় ভোলা বস্তি থেকে আসা শান্তা ইসলাম নগদ অর্থ সহায়তা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দুই মাস ধরে আমার কোনো উপার্জন নাই, ঘর ভাড়া দিতে পারি না, বাচ্চাদের খাবার নাই। এই সাহায্য আমার জীবন ফিরিয়ে দিল।
শান্তা ইসলামের মত আরও ১৫৫৫ পরিবারকে অর্থিক সহায়তা, ১২৫০টি পরিবারকে স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও ১৯৩৫টি পরিবারকে খাদ্যের প্যাকেজ প্রদানের মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে ৬ মাসের এই প্রকল্পের মাধ্যমে।