সৎ ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যা, ছয়দিন পর ম্যানহোল থেকে লাশ উদ্ধার
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪৯ এএম
ঢাকা
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হুজুর পাড়ায় সৎ ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ ম্যনহোলে ফেলে দেয়া হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ৬ দিন পর গত শুক্রবার রাতে ম্যানহোল থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম রবিউল (৩০)। তার পিতার নাম সাহেব আলী সর্দার। তিনি ওই এলাকার সাত্তারের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় টোকিও জুতার কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারী পাড়া থানার ভ্রাম্যনকাঠি এলাকায়। এ ঘটনায় নিহত রবিউলের পিতা সাহেব আলী তিন জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের ছোট ভাই সুজন যুগান্তরকে জানান, ঈদুল আজহার পরদিন ২ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৎ ভাই রিপন ও ভাবি লাকি কোরবানির মাংস নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে রবিউলকে হুজুর পাড়ার ২৬ কলোনির তাহমিনার বাড়িতে ডেকে নেয়।
তাকে সেখানে জবাই করে হত্যা করে বাড়ির সামনের ম্যানহোলে লাশ গুম করে রাখে। পরিবারের লোকজন সারারাত খোজাখুঁজির পর রবিউলকে না পায়নি। পরে হত্যাকারী রিপন নিজেই কামরাঙ্গীরচর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। শুক্রবার লাশ উদ্ধারের পর থেকে হত্যাকারী ভাই-ভাবি ও তাদের সহযোগী শিমুল পালিয়ে মাদারীপুরে রিপনের শশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে মামলা না করতে হুমকি দিচ্ছে বলে জানান সুজন।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ছয় দিন নিখোঁজ ছিলেন রবিউল। শুক্রবার ম্যানহোল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা পলাতক রয়েছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।