বেচা-বিক্রি নেই, তবুও ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত রাজধানীর কামারপট্টি
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২০, ০৬:০২ পিএম
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যস্ত রাজধানীর কামারপট্টি।
মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যস্ত রাজধানীর কামারপট্টি। চলছে হাঁপর টানা, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। হাতুড়ি পিটিয়ে কামাররা তৈরি করছেন দা, বঁটি, ছুরি, হাঁসুয়া, কাস্তে, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে বেঁচা-বিক্রি নেই। তারপরও কোরবানির ঈদে বেঁচা-বিক্রি হবে এ আশায় বুক বেঁধে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে এখন মুখরিত কামারপাড়াগুলো।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের শনিরআখড়া মন্দিরের সামনে বাজারের কামারপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামাররা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন সবাই।
কামারশিল্পী ঝিনুকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে দা, বঁটি, ছুরি, হাঁসুয়া, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায়। কোরবানির ঈদকে ঘিরে ভালো আয়-উপার্জন করে থাকেন তিনি। তবে এবার হতাশা ঘিরে ধরেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে একেবারেই বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে কামারশিল্পী স্বপন যুগান্তরকে বলেন, কাস্টমারই নেই, আবার বেচাকেনা! আর কিছু দিন পর ঈদ। অন্যান্য বছর এই সময়ে জমে ওঠে দা-বঁটির বাজার। দা, বঁটি, ছুরি বানিয়ে কূল পাইনা, অথচ এবার বিক্রিই নেই। ক্রেতাই আসছেন না। সারাদিনে দুই-তিনটা দা-বঁটিও বিক্রি হয় না।
কামারশিল্পী দিপু সরকার বলেন, এই ঈদ মৌসুমটাই আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করার চিন্তা করলে এই দিনগুলো ঘিরেই করা হয়। গত ঈদে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হলেও কারিগরদের বেতন দিয়ে খুব একটা থাকেনি। ভেবেছিলাম কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দা, বঁটিসহ বিভিন্ন মালামালের বেশি অর্ডার আসবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন একেবারেই ভিন্ন।
আরও একাধিক কামার ও ব্যবসায়ী একই রকম কথা জানান। এখন তাদের আশা, ঈদ এগিয়ে আসতে আসতে যদি বিক্রি কিছুটা বাড়ে। সেই লক্ষ্যেই থেমে না থেকে একের পর এক জিনিসপত্র তৈরি করে চলেছেন তারা।