দেয়াল টপকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করা সেই তরুণ রিমান্ডে

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
দেয়াল টপকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে আটক শেখ রাসেল (২০) নামে এক তরুণকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে ওই তরুণকে আদালতে হাজির করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। শুনানি শেষে দুদিন রিমান্ডে নিয়ে শেখ রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
বিনাঅনুমতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই তরুণের প্রবেশের রহস্য জানতে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক খান।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর দেয়াল টপকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মতো সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করলে শেখ রাসেলকে আটক করে নিরাপত্তা রক্ষীরা।
এর পর তাকে পুলিশে দিলে বিনাঅনুমতিতে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের দায়ে ওই তরুণের বিরুদ্ধে মামলা করেন তেজগাঁও থানার পুলিশ।
২৬ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, ওই তরুণের নাম শেখ রাসেল (২০)। তিনি নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মঙ্গলসিদ্ধ পূর্বপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে।
শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তিন ও চার নম্বর গেটের মাঝ বরাবর কাঁঠালগাছে উঠে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে শেখ রাসেল। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে নিচে পড়ে আহন হন তিনি। আহত রাসেলকে এসএসএফ (অপারেশন) অফিসে নিয়ে যায়। এর পর তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেন তেজগাঁও পুলিশের এএসআই মিজানুর রহমান।
রিমান্ডের আবেদন বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক খান ঢাকার আদালতকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আসামি শেখ রাসেলকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি।
এর পর তার পাঁচ দিন রিমান্ড চায়ে আবেদন করেন তিনি। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে রাসেলের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে আসামি রাসেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানে তিনি গিয়েছিলেন। তবে সংরক্ষিত এলাকায় বিনাঅনুমতিতে ঢোকার ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক খান জানিয়েছেন, রাসেলের ভাষ্যমতে– তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তবে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশের বিষয়টি এখনও বোধগম্য নই।