ছবি: সংগৃহীত
প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের স্পষ্ট করে লিখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাইকোর্ট থেকে। অনেক চিকিৎসকের লেখা স্পষ্ট না হওয়ায় প্রেসক্রিপশনে উল্লিখিত ওষুধ কিনতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের।
সব ওষুধের দোকানদার চিকিৎসাপত্রে কী লেখা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হন।
এ কারণে অস্পষ্ট লেখার কারণে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দিনাজপুরে ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রুলও জারি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
তবে এবার লেখা স্পষ্ট কিন্তু রোগীকে প্রেসক্রিপশনে ৩ কেজি নাপা ওষুধ খেতে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) শাহাদাত নামে এক রোগী রাজধানীর মিটফোর্ডে অবস্থিত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় প্রচন্ড জ্বর নিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে যাই। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে ডাক্তারের দেখা পাই।
এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই প্রেসক্রিপশন লিখে দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের বাইরের ফার্মেসিতে যাই। তারা প্রেসক্রিপশনে ৩ কেজি ওষুধ লেখা দেখে ওষুধ দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং আবার ওই ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে বলে।
তাদের কথামতো ফার্মেসি থেকে ফের হাসপাতালে গিয়ে দেখি বর্হিবিভাগ বন্ধ। উপায় না দেখে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হয় আমাকে।
ভুক্তভোগী শাহাদাত জানান, ডাক্তাররা আমাদের মানুষই গণ্য করেন না। বিশেষকরে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা ঠিকমতো রোগীকে সময়ই দেয় না। রোগীকে সময় কম দেয়ার কারণে রোগী ও স্বজনরা অসন্তুষ্ট হন। তাই টাকা বেশি গেলেও রোগীরা প্রাইভেট ক্লিনিকের দিকে ছুটছেন।