ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচন: বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৪ পিএম
ফাইল ছবি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র পদে উপনির্বাচন ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এ উপলক্ষে দুই সিটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে শেষ দিনের প্রচার চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পদে আওয়ামী লীগসহ চারটি রাজনৈতিক দলের চারজন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।
এ কারণে নির্বাচনী প্রচার ছিল অনেকটাই নিরুত্তাপ। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার ছিল চোখের পড়ার মতো। ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে সাত প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ প্রার্থী রয়েছেন।
উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির যুগ্মসচিব মো. আবুল কাসেম জানান, নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রচার বন্ধ। বুধবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো ভোটকেন্দ্রে আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড হলেই সে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হবে।
ইসির যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা যন্ত্রচালিত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা ও মহানগরে প্রবেশ ও বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক এবং প্রধান প্রধান সংযোগ সড়কে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
কর্মকর্তা আরও জানান, ইসির অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শকের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলও এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।