![শীতের রাতে কাঁদে মানবতা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2019/01/27/image-138313-1548574594.jpg)
শীতের রাতে কাঁদে মানবতা। ছবি সংগৃহীত
হিম হিম ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। তার ওপরে কুয়াশা। রাতের নিস্তব্ধতার মধ্যে রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ আর মাঝে মাঝে ক্ষুধার্থ কুকুরের হুংকার শোনা যায়। ফুটপাতে পথচারী চলাচল খুব একটা চোখে পড়ে না। আর তাই খালি ফুটপাতে রাত্রিযাপনের চেষ্টা করে শতশত মানুষ। তবে তাদের গায়ে জড়ানোর মত কাঁথা বা কম্বল না থাকায় শীত হাড়ে হাড়ে জানান দেয়।
শনিবার রাত সাড়ে ১২। রাজধানীর কাকরাইলের মসজিদের ফুটপাতের দৃশ্য এটি।এই ফুটপাতে রাত কাটানো বেশিরভাগ মানুষ ভিক্ষুক। সারাদিন ভিক্ষা করে রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁয় না থাকায় তারা ফুটপাতকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয়।
রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, শুধু কাকরাইল নয়, রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, শাপলাচত্ত্বর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ ও ফুটপাতে রাত্রিযাপন করে অনেক মানুষ। গ্রীষ্ম, বর্ষা সারাবছর তাদের একইভাবে কাটে।
ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ভিক্ষা করতে আসা ৫০ বছর বয়সী জরিনা বেগম যুগান্তরকে জানান, তার আপন বলতে কেউ নেই। ভিক্ষা করে তার খাওয়া চলে। আর থাকার জায়গা না থাকায় রাতে আশ্রয় হয় ফুটপাতে।
অশ্রুসিক্ত নয়নে জরিনা জানান, সারাদিন একভাবে কাটলেও রাতে ফুটপাতে থাকতে খুব কষ্ট হয়। একে তো শীতের কাপড় নেই তার ওপরে মশার কামড়। সারারাত একরকম না ঘুমিয়েই কাটান তিনি।
এত জায়গা রেখে কাকরাইল মসজিদে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নারী বলেন, মসজিদে সারারাত মানুষ থাকে। এছাড়া এখানে অন্য জায়গার চেয়ে অধিক নিরাপদ মনে হয়।
মসজিদের এই ফুটপাতে জরিনার সঙ্গে থাকা আরো বেশ কযেকজন বয়স্ক পুরুষ ও নারী জানান, তাদেরও থাকার কোনো জায়গা নেই। তাই ফুটপাতে থাকেন। তাদের আয়ের উৎস ভিক্ষা।