ঢাকাস্থ মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিল

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ঢাকাস্থ শিক্ষার্থীদের সংগঠন মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে এই আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর থেকে পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জ্বল হোসাইন (কায়কোবাদ)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. একে আজাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কালাম সরকার, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক দাউদ খান, মানচিত্র প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কেএম সিরাজুল ইসলাম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদুজ্জামান প্রমুখ।
ঢাকাস্থ মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়সাল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় কাজী শাহ মোফাজ্জ্বল হোসাইন (কায়কোবাদ) বলেন, ১৯৮৬ সালে যখন আমি স্বতন্ত্র সংসদ নির্বাচন করি সেবার আমি এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। সেদিন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছিল।
তিনি বলেন, দেশ থেকে যখন বেরিয়ে যাই তখন আমার পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল এই মুরাদনগরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় আমরা কখনো চিন্তাও করতে পারিনি আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কথা বলতে পারব।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অনুষ্ঠান আমাদের মাহে রমজানের শিক্ষার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের প্রতিটা মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে তাহলেই আমাদের পরিবার, সমাজ তথা মুরাদনগরের উন্নতি হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক একে আজাদ বলেন, এই সংগঠনে যারা আছেন তাদের জন্য চোখের চিকিৎসা আমার কাছে আসলে ফ্রি করে দেব, ইনশাআল্লাহ।
মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের মুরাদনগরের শিক্ষার্থীরা ঢাকায় এসে শুরুতে তার নিজস্ব খরচ চালাতে পারে না। প্রায়ই আমাদেরকে এই ধরনের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে হয়। অথচ আমাদের কোনো ফান্ড সিস্টেম নাই। আমাদের সাবেক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা আমাদের জন্য একটা ফান্ডের ব্যবস্থা করুন।
অনুষ্ঠানে মুরাদনগর উপজেলায় জন্ম বিভিন্ন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও ঢাকায় অধ্যয়নরত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।