দেশে ওষুধ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম

রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার ওপর ভিত্তি করে ড্রাগ আবিষ্কার এবং ওষুধের পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ফার্মেসি বিভাগ।এর ফলে দেশে ওষুধ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা হলো।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার ওপর ভিত্তি করে ড্রাগ আবিষ্কার এবং ওষুধের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি ও বায়োমেডিকেল রিসার্চের পরিচালক প্রফেসর ড. এসএম আব্দুর রহমান।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহাবুবুল হক।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিইউ’র ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ওষুধ গবেষণায় এক নতুন যুগের সূচনা হলো। সাম্প্রতিক গবেষণায় রাসায়নিক, জৈবিক এবং ক্লিনিক্যাল গবেষণার সমন্বয়ে ড্রাগ আবিষ্কার ও পুনর্নির্মাণের প্রক্রিয়ায় বিপ্লব ঘটেছে। বিজ্ঞানীদের এই উদ্যোগ রোগ নিরাময়ের নতুন পথ উন্মুক্ত করার পাশাপাশি চিকিৎসা খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।
তিনি বলেন, এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধে আরও কার্যকর এবং নিরাপদ ওষুধ উদ্ভাবন করা। উন্নত রাসায়নিক বিশ্লেষণ, জৈবিক প্রযুক্তি এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সমন্বয়ে নতুন ওষুধ তৈরি প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত ও নির্ভুল করে তুলেছে। তার মতে- এই উদ্ভাবনগুলো জেনেটিক, ভাইরাল এবং সংক্রামক রোগগুলোর চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য এমন ওষুধ তৈরি করা, যা রোগ নিরাময়ে আরও কার্যকর হবে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হবে। ওষুধ পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে পুরনো ওষুধগুলোকেও নতুনভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্য খাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।