শিক্ষকদের আন্দোলনে টানা চতুর্থদিনের মতো অচল জবি
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের আওতা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বাতিলের দাবিতে টানা চতুর্থদিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বক্তব্য দেন। এ সময় তারা শিক্ষকদের এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন বৃথা যাবে না বলে দাবি করেন এবং আন্দোলনকে জোরদার করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া বক্তব্যে ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহার ছাড়াও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির আরও দুটি দাবি জানান তারা। এ ছাড়া প্রত্যয় স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেন তারা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমি ২০০৩ সাল থেকে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত আছি। আজ শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ। কখনোই এমনভাবে শিক্ষকদের এতটা ঐক্যবদ্ধ দেখিনি। প্রত্যেক শিক্ষকই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি, আন্দোলন বৃথা যাবে না।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দিন বলেন, আমরা শ্রেণিকক্ষে দ্রুতই ফিরতে চাই। আমাদের কাজ আন্দোলন করা নয়। কিন্তু অধিকার আদায়ে টানা আন্দোলনে বাধ্য হচ্ছি। অবিলম্বে ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করতে হবে।
এদিকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিন বিশ্বিবদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের (কাজী মনির) বলেন, আমাদের সঙ্গে সরকার বসতে চাইলে আমরা বসব। আর আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।